রাজশাহীতে এসএসসিতে পাসের হার ৮৯.২৬, মেয়েরা টানা সাত বছর শীর্ষে

এসএসসির ফল প্রকাশের পর রাজশাহী শহরে পিএন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছাসছবি : প্রথম আলো

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৮৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং মেয়েদের ৯১ দশমিক ৯০ শতাংশ। পাসের হারে মেয়েরা টানা সাত বছর এগিয়ে রয়েছে। এ ছাড়া জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকেও মেয়েরা ছয় বছর ধরে শীর্ষে রয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, এবার রাজশাহীর আট জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৮৫৩ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯২৪ জন পরীক্ষা দেয়নি। পাস করা মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৫৮।

গত দুই বছরের তুলনায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার বেশি। ২০২২ সালে ৮৫ দশমিক ৮৮ ও ২০২৩ সালে ৮৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছিল। ২০১৮ সাল থেকেই পাসের হারে এগিয়ে আছে মেয়েরা। এ ছাড়া ২০১৯ সাল থেকে জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকেও এগিয়ে মেয়েরা। এবারের ফলাফলেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এবার মোট ২৮ হাজার ৭৪ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে ছেলে ১২ হাজার ৫৭৯ জন। আর মেয়ে ১৫ হাজার ৪৯৫ জন। বিভাগের আট জেলার ২৮৯টি বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী এবার পাস করেছে। আর দুটি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি।

রাজশাহী বিভাগের ২৬৬টি কেন্দ্রে এবার এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২ হাজার ৬৮৫টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়। পরীক্ষা চলাকালে ছয়জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

বিভাগের আট জেলার মধ্যে এবার সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৮৭ শতাংশ পাসের হার রাজশাহী জেলায়। এরপর জয়পুরহাট জেলায় ৯০ দশমিক ৪৭, বগুড়ায় ৮৯ দশমিক ৯২, পাবনায় ৮৯ দশমিক ২৫, নাটোরে ৮৯ দশমিক শূন্য ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮৮ দশমিক ৮২, নওগাঁয় ৮৮ দশমিক ২৮ এবং সিরাজগঞ্জে ৮৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় পাস করেছে।

পরীক্ষার ফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছরের চেয়ে এবার ভালো ফল হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা খুশি। যে দুটি স্কুলে কোনো পরীক্ষার্থী পাস করেনি, তার কারণ আমরা খুঁজে দেখে ব্যবস্থা নেব। ফলাফলে মেয়েদের এগিয়ে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা বোর্ডে এ নিয়ে কোনো মূল্যায়ন করা হয় না। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, মেয়েরা ইদানীং ছেলেদের চেয়ে পড়াশোনা ভালো করছে। এই জন্য ফলাফলে তারা এগিয়ে থাকছে।