কারাগারে নেওয়ার পথে পালিয়ে যাওয়া সেই আসামি গ্রেপ্তার

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, চুরি মামলার আসামি শাহ আলম ও হত্যা মামলার আসামি উজ্জ্বল মিয়া (৩০) কিছুদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন আচরণ করছিলেন। গত সোমবার তাঁদের দুজনকে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। হাসপাতালটির দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁদের রাজধানী ঢাকার একটি মানসিক হাসপাতালে নিতে বলেন।

নরসিংদী জেলা কারাগারের উপসহকারী জেলার রিজিয়া পারভিন জানান, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে কারাগার থেকে তাঁদের দুজনকে হাতকড়া পরিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশের চার সদস্যের একটি দলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশের ওই দলটিতে ছিলেন জেলা পুলিশ লাইনসের নায়েক মামুন মিয়া, কনস্টেবল সোহেল মিয়া, আবুল কালাম ও ওমর ফারুক। পুলিশের দলটি এই দুই আসামিকে নিয়ে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে যাতায়াতকারী একটি বাসে চড়ে রওনা হন। এ সময় অন্য যাত্রীরাও বাসে ছিলেন। পরে বাসটি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী বাসস্ট্যান্ডে থামলে আসামি শাহ আলম বাসের দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান। পরে আশপাশের এলাকায় কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে শাহ আলমকে না পেয়ে উজ্জ্বল মিয়াকে নিয়েই কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায় পুলিশের ওই দল।

আড়াইহাজার থানা-পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় গতকাল নরসিংদী জেলা পুলিশ লাইনসের নায়েক মামুন শেখ বাদী হয়ে বাস থেকে হাতকড়া পরিহিত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়া শাহ আলমকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পালিয়ে যাওয়া আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে আড়াইহাজার থানা–পুলিশ। গতকাল মধ্যরাতে পাঁচরুখী এলাকায় অভিযানের সময় তিনি গ্রেপ্তার হন। এ সময় তাঁর হাতে কোনো হাতকড়া ছিল না।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, বাসের দরজা থেকে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যাওয়া শাহ আলম নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আজ দুপুরে তাঁকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের মাধ্যমেই তাঁকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে।