চুরি করতে করতে সকাল, পালানোর উপায় না পেয়ে ৯৯৯-এ কল

দোকান থেকে বের হতে গেলে গণপিটুনিতে পড়ার ঝুঁকি আছে, এমনটা ভেবে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল করেন ইয়াসিন খাঁ
ছবি: প্রথম আলো

চুরি করতে গিয়ে মালামাল গোছাতে গোছাতে কখন সকাল হয়ে গেছে, টের পাননি। মালামাল নিয়ে বের হতে গিয়ে দেখেন, ভোরের আলো ফুটে গেছে, চারপাশে অনেকের আনাগোনা। এই সময় বের হতে গেলে গণপিটুনিতে পড়ার ঝুঁকি আছে, এমনটা ভেবে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল করেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। বরিশাল সদর উপজেলার চর কাউয়া ইউনিয়নের এ আর খান বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।

ওই ব্যক্তির নাম ইয়াসিন খাঁ (৪০)। তাঁকে গতকাল বুধবার সকালে উদ্ধারের পর পুলিশ বিকেলে চুরির মামলায় জেলহাজতে পাঠায়। ইয়াছিনের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ছিলারিশ গ্রামে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে তিনি বরিশাল নগরের কালুশাহ সড়ক এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বন্দর থানার (সাহেবেরহাট) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমার চাকরিজীবনে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। ওই ব্যক্তি স্বীকার করেছেন তিনি একজন পেশাদার চোর।’

ইয়াসিন খাঁ বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বরিশাল সদর উপজেলার চর কাউয়া ইউনিয়নের এ আর খান বাজারের ঝন্টু মিয়ার মুদিদোকানের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এরপর মালামাল বেছে কয়েকটি ব্যাগে ভরেন। মালামাল নিয়ে বের হতে গিয়ে দেখেন সকাল হয়ে গেছে। তখন সঙ্গে থাকা মুঠোফোন থেকে ৯৯৯–এ কল করে সহযোগিতা চান।

ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইয়াসিন ৯৯৯-এ কল করে বলেন, তিনি খুব বিপদে পড়ছেন। তাঁকে যেন দ্রুত পুলিশ এসে উদ্ধার করে। পুলিশ সদস্যরা গিয়ে দোকানের ভেতর থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন।

দোকানটির  মালিক ঝন্টু মিয়া বলেন, ‘গতকাল বুধবার সকালে পুলিশ আমার দোকানের কাছে এসে খোঁজাখুঁজি করার পরে আমি সেখানে আসি। তখন কিছুই অনুমান করতে পারিনি। পরে দোকান থেকে একজনকে বের করায় বুঝতে পারি চোর ধরেছে। পরে জানতে পারি ওই ব্যক্তি ৯৯৯-এ কল করে সহায়তা চেয়েছিলেন। ভালো ভালো জিনিস ব্যাগে ভরেছিলেন, কিন্তু নিতে পারেননি। ঘটনাটি এলাকায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।’