খুলনায় দুদিনে বিএনপির ২৭ নেতা-কর্মীকে আটকের অভিযোগ

আটক
প্রতীকী ছবি

ঢাকায় ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গত দুই দিনে খুলনা জেলা ও নগরের ২৭ নেতা–কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। গতকাল বুধবার রাতে নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। এ সময় খুলনা নগরের ১২ জন ও জেলার ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে খুলনা বিএনপি।

খুলনা নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীতে মহাসমাবেশে না যেতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করার জন্য এ গ্রেপ্তার চালানো হচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও ১২ জনকে আটক করে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির নেতা মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার রাত তিনটা পর্যন্ত খুলনা নগরে বিএনপির ১২ নেতাকে আটক করা হয়। আটক নেতারা হলেন খানজাহান আলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফারুক হোসেন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা সাঈদ, ২২ নম্বর ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মো. জহির শেখ, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের প্রচার সম্পাদক আলমগীর মোল্লা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন, দৌলতপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক আসাদুর রহমান, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন, ৩১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা জি এম রফিকুল ইসলাম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শেখ ইসলাম, খানজাহান আলী থানার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মো. হাদিউজ্জামান, আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও শ্রমিক নেতা সরদার নজরুল ইসলাম ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য শহিদুল আলম। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম এখনো জানা যায়নি।

বিএনপির নেতা–কর্মীদের আটকের বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছানকে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি।