বগুড়ায় গভীর রাতে ফলের মার্কেটে আগুন, পুড়ে গেছে ১০ দোকান

ফলের সঙ্গে পুড়ে গেছে টাকাও । সেই পুড়ে যাওয়া টাকার বান্ডিল দেখছেন এক ফল বিক্রেতা। বগুড়ার সাতমাথায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ফলের মার্কেটে শনিবার সকালেছবি: সোয়েল রানা

বগুড়া শহরের সাতমাথায় পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন ফলের মার্কেটে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এ সময়ের মধ্যে ১০টি দোকান পুড়ে যায়।

ফল ব্যবসায়ী মো. সাগর বলেন, ‘প্রতিটি দোকানে গড়ে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার খেজুর ও বিভিন্ন ফল ছিল। শুক্রবার বেচাবিক্রি শেষে রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার দিকে দোকান বন্ধ রেখে ফিরি। ঘণ্টাখানেক পর আগুন লাগার খবর পেয়ে এসে দেখি, সব শেষ। মাত্র কয়েক মিনিটের আগুনে কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই। আমরা এখন নিঃস্ব।’

ফল ব্যবসায়ী লাল মিয়া বলেন, ‘সারা দিন বেচাবিক্রি শেষে পরের দিন সকালে আড়তে ফল কেনাকাটা করতে হয়। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ব্যাংক বন্ধ ছিল। ফলে অধিকাংশ দোকানে বিপুল পরিমাণ ফল ছাড়াও সারা দিন বেচাবিক্রির নগদ টাকা ছিল। আগুনে সব পুড়ে গেল।’

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ফলের দোকান
ছবি: প্রথম আলো

বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক। তিনি বলেন, প্রতিটি দোকানে বৈদ্যুতিক বাতি ছিল। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য কোনো কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিরূপণ করা যায়নি।

আগুনে পুড়ে যাওয়া খেজুর
ছবি: প্রথম আলো

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ফল ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, দোকানে বৈদ্যুতিক বাতি ছাড়া কিছুই নেই। শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এটা পরিকল্পিত নাশকতা। ফল মার্কেটের জায়গা বগুড়া পৌরসভার। দুই যুগ ধরে পৌরসভা থেকে দোকান বরাদ্দ নিয়ে তাঁরা ব্যবসা করছেন। কয়েক বছর আগে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজ তৈরি করে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার ছেলে মার্কেটের জায়গা দখল করার চেষ্টা করেন।