সাজেকে রিসোর্ট-কটেজগুলোতে কোনো কক্ষ খালি নেই

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ভ্যালি দেশের একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। ঈদ ও নববর্ষের টানা ছুটিতে সাজেকে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় হতে যাচ্ছে। সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল রিসোর্ট-কটেজগুলোতে কোনো কক্ষ খালি নেই।

অন্য ছুটির সময়গুলোতে সাধারণত ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু এবার গত এক সপ্তাহ আগে সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এর বাইরে রাঙামাটি শহর ও কাপ্তাই উপজেলা হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজগুলোতে ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়েছে।

রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, ১১২টি রিসোর্ট-কটেজে গাদাগাদি করে থাকলে সাড়ে চার হাজার পর্যন্ত অতিথি থাকতে পারেন রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে।

সাজেকের পর্যটনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভাষ্য, বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কারণে উদ্ভূত সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কোনো প্রভাব পড়েনি। এ পর্যন্ত এখনো কোনো পর্যটক বুকিং বাতিল করেননি, এখনো বুকিং বাড়ছে। বান্দরবানে যাঁরা বেড়াতে যাওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা এখন খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি ঘুরতে আসার কথা ভাবছেন বলে তাঁদের ধারণা। সে জন্য সাজেকে পর্যটকের ভিড় বাড়তে পারে।

সাজেক পর্যটনকেন্দ্র
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার টানা ছুটিতে রুইলুই ভ্যালিতে ১৩ ও ১৪ এপ্রিল বেশ চাপ থাকবে। এপ্রিল মাসের শুরুতেই এই দুই রিসোর্ট-কটেজগুলোর সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে যায়। যাঁরা কক্ষ বুকিং না নিয়ে সাজেকে ঘুরতে যাবেন, তাঁরা সড়ক, রাস্তা, বারান্দা, স্টোররুমে রাত কাটাতে হবে। অবশ্য এর আগে একাধিকবার কক্ষ না পেয়ে শত শত পর্যটককে রাস্তা, বারান্দা, স্টোররুমে ও সড়কে ঘুরে রাত কাটাতে হয়েছে। এবারও স্বাভাবিকের তুলনায় পর্যটক বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে জন্য সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতি তা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাঁবু খাটিয়ে ও স্থানীয় লোকজনের বাড়িতে রাত কাটানোর ব্যবস্থা করে দেওয়ার চিন্তা করছেন বলে জানান রিসোর্ট-মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জেরি লুসাই।

সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রে রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেববর্মণ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের রিসোর্ট-কটেজগুলোতে ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল সব কক্ষ আগাম বুকিং হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে কোনো কক্ষ বুকিং নিতে পারছি না। বুকিং ছাড়া যাঁরা আসবেন, তাঁদের স্থানীয় লোকজনের ঘরবাড়িতে, ক্লাবঘর, বারান্দায় ও নিজেদের সুবিধামতো স্থানে গিয়ে রাত কাটাতে হবে।’
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মুঈন উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ৫৩টি হোটেল-মোটেল রয়েছে। টানা ছুটিতে এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আজ-কালকের মধ্যে আরও বুকিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সেও ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ৬ কটেজ ও ২টি মোটেলে ৮৮টি কক্ষ রয়েছে। এসব কক্ষের মধ্যে ১৩, ১৪, ১৪, ও ১৬ এপ্রিল ৮০ শতাংশ আগাম বুকিং হয়েছে। আরও বুকিং বাড়তে পারে। কারণ, বান্দরবানের কিছু পর্যটক রাঙামাটিতে বেড়াতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’