দুবাই থেকে এসে দ্বিতীয় বিয়ের কাবিননামা নিবন্ধন করার সময় গ্রেপ্তার করল পুলিশ

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

সংসারে সচ্ছলতা আনতে স্ত্রী-সন্তান রেখে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গিয়েছিলেন রফিকুল ইসলাম (৪৩)। তিনি দুবাই থেকে মুঠোফোনে নিজ এলাকার এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মুঠোফোনে ওই নারীকে বিয়েও করেন। দেশে এসে গতকাল শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় বিয়ের কাবিননামা নিবন্ধন করার সময় পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। প্রথম স্ত্রীর করা নির্যাতনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার প্রবাসী রফিকুল ইসলাম জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মহিতুড় গ্রামের বাসিন্দা। তিনি প্রায় এক যুগ আগে দুবাই গিয়েছিলেন।

স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন দিন আগে রফিকুল ইসলাম গোপনে দুবাই থেকে দেশে এসে এক স্বজনের বাড়িতে ওঠেন। দুই দিন পর খবর পেয়ে স্বজনেরা এসে তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এ সময় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে গতকাল সকালে স্ত্রীকে মারধর করেন রফিকুল। বিকেলে তাঁর প্রথম স্ত্রী আক্কেলপুর থানায় নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই নারীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ের কাবিননামা নিবন্ধন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রফিকুল। এরই মধ্যে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

আজ শনিবার সকালে আক্কেলপুর থানাহাজতে প্রবাসী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দুবাই থাকতে ফেসবুকে একই ইউনিয়নের ডিভোর্সি এক নারীর সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওই নারীরও সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে তার সঙ্গে আমার কথা হয়। আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। আট মাস আগে মুঠোফোনে আমাদের বিয়ে হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল দেশে এসে মামার বাড়িতে ছিলাম। শুক্রবার রাতে ১০ লাখ টাকার দেনমোহরে কাবিননামা করার জন্য ঠিকঠাক করেছিলাম। এরই মধ্যে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে এসেছে।’

রফিকুলের মামা আবদুর রাজ্জাক বলেন, রফিকুলের স্ত্রী ও ১২ বছরের ছেলেসন্তান আছে। শুক্রবার রাতে দ্বিতীয় বিয়ের কাবিননামা রেজিস্ট্রি করার সময় পুলিশ এসে তাঁর ভাগনেকে ধরে নিয়ে গেছে।

আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন বলেন, প্রবাসী রফিকুল স্ত্রীকে নির্যাতন করেছেন। স্ত্রীর করা নির্যাতন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।