বগুড়ায় ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি, পুলিশ এখনো ‘গভীরভাবে অনুসন্ধানে’

বগুড়া জেলার মানচিত্র

বগুড়ায় এনআরবিসি ব্যাংকের একটি শাখার ভল্ট ভেঙে প্রায় ১০ লাখ টাকা চুরির চার দিন পরও রহস্যের কোনো কিনারা করতে পারেনি পুলিশ ও গোয়েন্দারা। এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ বলছে, তারা ‘গভীরভাবে অনুসন্ধান’ করছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।

গত শুক্রবার রাতের কোনো এক সময়ে বগুড়া সদর উপজেলার শাখারিয়া ইউনিয়নের পল্লীমঙ্গল হাটে এনআরবিসি ব্যাংকের উপশাখায় হানা দিয়ে দুর্বৃত্তরা ভল্ট ভেঙে প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শনিবার ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। এরপর ভল্ট ভেঙে অর্থ চুরির রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দারাও মাঠে নামেন।

গতকাল দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার প্রথম আলোকে বলেন, এখনো রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়নি। থানা-পুলিশ এবং জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরির ঘটনাটি গভীরভাবে অনুসন্ধান করছে।

আরও পড়ুন

ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ব্যাংকটির এই উপশাখায় নিরাপত্তাকর্মী বা নৈশপ্রহরী ছিল না। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যাংকের ভল্টে (সিন্দুক) রেখে সাপ্তাহিক ছুটিতে যান কর্মকর্তারা। দুর্বৃত্তরা রাতের কোনো এক সময়ে ব্যাংকে প্রবেশ করে ভল্ট ভেঙে সেই টাকা চুরি করে। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

এনআরবিসি ব্যাংকের পল্লীমঙ্গল উপশাখার ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকটির এই শাখায় ১০ লাখ টাকার স্থিতি পর্যন্ত সিন্দুকে রাখার অনুমোদন ছিল। বৃহস্পতিবার ব্যাংকিং কার্যক্রম শেষে ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ভল্টে রেখে সাপ্তাহিক ছুটিতে যাওয়া হয়েছিল।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, টাকা চুরির ঘটনায় হওয়া মামলার পর সদর থানা-পুলিশ তদন্তে নেমেছে। এ ছাড়া ডিবি ও সিআইডি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরির রহস্য উন্মোচনে ছায়াতদন্ত করছে।

ইতিমধ্যে ব্যাংকের ভেতরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, মুখোশপরা দুজন চোর ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে ভল্টের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভবনের ছাদ দিয়েই দুর্বৃত্তরা ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেছে। তারা সংখ্যায় দুজন নাকি আরও কেউ ছিল, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।