তিনটি রেলস্টেশনের দায়িত্ব একজনের কাঁধে
নভেম্বর থেকে হাবিবুর রহমান বগুড়ার সান্তাহার, জয়পুরহাট ও তিলকপুর স্টেশনের দায়িত্ব পালন করছেন।
হাবিবুর রহমান পাঁচ বছর আগে জয়পুরহাট স্টেশনমাস্টারের পদে যোগ দেন। এক বছর পর অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তিলকপুর স্টেশনমাস্টারের দায়িত্ব পান। সম্প্রতি তাঁকে সান্তাহার স্টেশনমাস্টারের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। এতে সান্তাহার স্টেশনের দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সান্তাহার জংশন স্টেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সান্তাহার উত্তরবঙ্গের বৃহৎ রেলওয়ে জংশন। এই স্টেশন দিয়ে সান্তাহারসহ নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলা, বগুড়া ও জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা চলাচল করেন। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা স্টেশনমাস্টারের পক্ষে এ দায়িত্ব পালন করা কষ্টকর।
স্টেশন দপ্তর সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর সান্তাহার রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব ছিলেন হাবিবুর রহমান। সে সময় তিনি এ স্টেশনে ১১ মাস দায়িত্ব পালন করেন। পরে সান্তাহার স্টেশনে রেজাউল করিম নামের একজন যোগদান করেন। চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর রেজাউল করিম চাকরি থেকে অবসরে যান। এরপর গত চার নভেম্বর থেকে আবারও সান্তাহার জংশন স্টেশনসহ তিনটি স্টেশনের দায়িত্ব পালন করছেন হাবিবুর।
সান্তাহার পৌরসভার কাউন্সিলর জার্জিস আলম বলেন, প্রতিদিন সান্তাহার স্টেশনে কয়েক হাজার যাত্রীর সমাগম হয় । স্টেশনে একজন মাস্টার সার্বক্ষণিক না থাকলে যাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। স্টেশনের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য একসময় স্টেশনমাস্টার ছাড়াও একজন স্টেশন ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) ছিলেন । পরে ওই পদটি বাতিল করা হয় ।একজন মাস্টারের পক্ষে সান্তাহার জংশন স্টেশন ছাড়াও আরও দুটি স্টেশনের দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তিনি দ্রুত সান্তাহার স্টেশনে একজন স্থায়ী স্টেশনমাস্টার নিয়োগের দাবি জানান।
এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি পাঁচ বছর আগে জয়পুরহাট স্টেশনে যোগ দেন। গত চার বছর ধরে তিলকপুর স্টেশনের দায়িত্ব পালন করছেন। দ্বিতীয় দফায় আবার সান্তাহার স্টেশনের দায়িত্ব পেয়েছেন। জনবলসংকটের কারণে রেল কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি তাঁর দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যদিও তাঁর জন্য তিনটি স্টেশন চালানো অনেকটাই কষ্টকর। তিনি প্রতিদিন তাঁর কর্মঘণ্টার অর্ধেক সময় সান্তাহার স্টেশন আর বাকি অর্ধেক সময় জয়পুরহাট ও তিলকপুর স্টেশনের দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেন।
রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চল জোনের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন বলেন, মূলত জনবলসংকটের কারণে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনবল নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত প্রতিটি রেলস্টেশনে স্থায়ীভাবে মাস্টারসহ অন্য পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।