চট্টগ্রামে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
নয় দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রামে আবার রেলওয়ের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে নির্ধারিত লোকাল ট্রেন ছাড়তে শুরু করেছে। সকালে দুটি ট্রেন ছেড়েছে। বিকেলে দুটি ও রাতে একটি ট্রেন ছাড়ার কথা রয়েছে।
৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। কারফিউ কিংবা কোনো বিধিনিষেধও নেই। তবে রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন সংঘাতে রূপ নিলে গত ২০ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ১ আগস্ট থেকে স্বল্প দূরত্বে মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালু করা হয়েছিল। চলেছিল কিছু মালবাহী ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেনও। কিন্তু ৪ আগস্ট থেকে দ্বিতীয় দফায় আবার বন্ধ হয়ে যায়। এখন লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে আন্তনগর ট্রেন।
আজ সকাল ৮টায় চাঁদপুরের উদ্দেশে সাগরিকা কমিউটার এবং পৌনে ১০টায় ঢাকার উদ্দেশে কর্ণফুলী কমিউটার ছেড়ে যায়। প্রথম দিনে যাত্রীর উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। সকাল থেকে টিকিট কাউন্টারে ভিড় ছিল যাত্রীদের।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আজ থেকে লোকাল ট্রেনগুলো চলাচল শুরু করেছে। সব আসন পূর্ণ না হলেও যাত্রীর সংখ্যা খুব একটা খারাপ না। প্রথম দিনের হিসেবে সন্তোষজনক। ধীরে ধীরে যাত্রী বাড়বে।
আজ বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে নাজিরহাট লোকাল এবং বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে নাছিরাবাদ লোকাল চলাচল করবে। রাত পৌনে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে ছাড়বে ঢাকা মেইল।
সাধারণত স্বল্প আয়ের লোকজন এসব ট্রেন ব্যবহার করে থাকেন। আবার কেউ কেউ চাকরি ও ব্যবসার প্রয়োজনে এসব ট্রেনে করে নিত্যদিন আসা-যাওয়া করেন। আর নাজিরহাট ট্রেনে করে স্থানীয় কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত পণ্য এনে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করেন।