টঙ্গীতে ওষুধ কারখানার পরিত্যক্ত মালামাল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মারামারি
গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক এলাকায় একটি ওষুধ কারখানার পরিত্যক্ত মালামালের (ওয়েস্টিজ) ব্যবসাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে বিসিকের পানির ট্যাংকি এলাকার ‘রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস’ কারখানার পরিত্যক্ত মালামাল নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিএনপির নেত-কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা একটার দিকে কারখানাটির পরিত্যক্ত মালামাল নামাচ্ছিলেন টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিনের লোকজন। এ সময় তাঁদের কাজে বাধা দেন স্থানীয় ৪৩, ৪৪ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা (৪৩, ৪৪ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা-কর্মী) বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মী। ওষুধ কারখানাটিও তাঁদের ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত। সে হিসেবে কারখানাটির পরিত্যক্ত মালামাল তাঁদের প্রাপ্য। এ নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে কথাও হয়েছে। মালিকপক্ষ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নিতে বলে। কিন্তু এর মধ্যেই গাজী সালাউদ্দিন ও তাঁর লোকজন জোর খাটিয়ে কারখানাটির মালামাল নামাতে থাকেন। এ সময় বাধা দিলে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান সালাউদ্দিনের লোকজন। এ সময় ওমর ফারুক, সোহান, সাব্বি ও রনিসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের ৪ নেতা–কর্মী আহত হন।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে গাজী সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়েস্টিজ নেওয়ার ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের ডিড (চুক্তি) হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আমরা বৈধ ব্যবসায়ী। এ–সংক্রান্ত সব কাগজপত্র আমার কাছে আছে। কিন্তু আজ আমার লোকজন মালামাল নামাতে গেলে হঠাৎ কিছু লোকজন (ওয়ার্ড বিএনপির নেতা–কর্মী) বাধা দেয়। এ সময় কিছুটা হাতাহাতির ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু এখন তারা বিষয়টি নানাভাবে রং মেখে প্রচার করছে, যেন আমি সিনিয়র নেতাদের কাছে কালার (দোষী) হই।’
এ বিষয়ে জানতে কারখানার পরিচালক সাখাওয়াত হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জানতে চাইলে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কারখানার ওয়েস্টিজ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল। পরে তাঁরা স্থানীয়ভাবে বসে নিজেরাই মীমাংসা করে নিয়েছেন। এ ঘটনায় মারামারি বা আহত হওয়ার কোনো খবর আমাদের কাছে আসেনি। এ–সংক্রান্ত কেউ অভিযোগও করেনি।’