মাদারীপুর জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কুকুরের কামড়ে আহত রোগী ও স্বজনদের ভিড়
ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলাতে অন্তত ৬০ জনকে কামড়ে আহত করা বেওয়ারিশ কুকুরটিকে ফাঁদে ফেলে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন স্থানীয় লোকজন। রোববার বিকেলে কালকিনি পৌরসভা থেকে কুকুরটি ধরা হয়। পরে ঝাউতলা এলাকায় কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়ন ও কালকিনি পৌরসভার এলাকায় কুকুরের কামড়ে আহত হন অন্তত ৬০ জন। তাঁরা মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন।

থানা-পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লাল, সাদা ও হলুদ রঙের একটি কুকুর আলীনগর এলাকার একজন কৃষকের পায়ে কামড় দেয়। এরপর কুকুরটিকে মারতে স্থানীয় লোকজন তেড়ে আসলে কুকুরটি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তখন কুকুরটি আশপাশে যাকে পেয়েছে তাঁকেই কামড় দিয়েছে। রোববার দুপুরে প্রথম আলো অনলাইনে ‘এক কুকুরের কামড়ে আহত অর্ধশতাধিক মানুষ, হাসপাতালে ভর্তি ৩০ জন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এভাবে কুকুরটি আলীনগর ইউনিয়নের ফাঁসিয়াতলা, চরলক্ষ্মীপুর, সস্তাল, কালীগঞ্জ হয়ে কালকিনি পৌরসভায় প্রবেশ করে। পরে স্থানীয় লোকজন কুকুরটি চিহ্নিত করে বাঁশ ও রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে কুকুরটি মেরে ঝাউতলা এলাকায় মাটিচাপা দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় পৌর এলাকার পাঙ্গাসিয়া এলাকায় আরও একটি কুকুরকে মেরে ফেলে স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন

এক কুকুরের কামড়ে আহত অর্ধশতাধিক মানুষ, হাসপাতালে ভর্তি ৩০ জন

কামরুল ফকির নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘বিকেলে লাল, সাদা ও হলুদ রঙের যে কুকুরটি মারা হয়েছে ওটি ছিল বেওয়ারিশ কুকুর। কুকুরটি ধরতে আমাদের অনেক বেগ পোহাতে হয়েছে। অনেক সাহস নিয়ে আমরা কুকুরটি ধরতে পেরেছি। যখন কুকুরটি ধরতে যাই, তখন সবার মধ্যে ভয় কাজ করেছে। তবুও সাহস নিয়ে এলাকার কয়েকজন যুবক কুকুরটি ধরে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে কুকুরটি পিটিয়ে মারা হয়। সন্ধ্যার আগে আরও একটি কুকুর এক নারীকে কামড় দেয়। পরে ওই কুকুরটিকে পিটিয়ে মারা হয়।’

এ সম্পর্কে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বেওয়ারিশ কুকুরটি চিহ্নিত করতে থানার কর্মকর্তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

কুকুরটি হত্যার ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুবোধ কুমার দাস বলেন, তাঁরা খবরটি পেয়েছেন। যেহেতু কুকুরটি বেওয়ারিশ, তাই এটিকে মেরে ফেলা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প উপায় ছিল না।