জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছরের পুরোনো হলটি ভেঙে ফেলার সুপারিশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল
ছবি: সংগৃহীত

ভূমিকম্পের ঝুঁকি বিবেচনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল সাত দিনের মধ্যে ভেঙে পুনর্নির্মাণের সুপারিশ করেছে রাজধানী নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। পাশাপাশি আরও পাঁচটি ভবন মজবুতকরণ করে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পুরোনো কলাভবন, নতুন কলাভবন, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ভবন।

বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে রাজউকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের আওতায় করা ভূমিকম্প ঝুঁকি মূল্যায়ন বিবেচনায় এ সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আরবান রেজিলিয়েন্সের প্রকল্প পরিচালক আবদুল লতিফ হেলালী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবদুল লতিফ হেলালী বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ১১৩টি ভবনের র‌্যাপিড ভিজ্যুয়াল স্ক্রিনিং অ্যাসেসমেন্ট (আরভিএসএ), ৩৫টির প্রিলিমিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (পিইএ) ও ১৩টির ডিটেইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাসেসমেন্ট (ডিইএ) করা হয়। এর মধ্যে একটি ভবন ভেঙে পুনর্নির্মাণ ও পাঁচটি ভবন মজবুতকরণের মাধ্যমে ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে (১ মার্চ) এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি আসে। কিন্তু চিঠিতে ভবনের সংখ্যা ও কোড থাকলেও ভবনের নাম সুনির্দিষ্ট করা ছিল না। এ জন্য ভবনের নাম সুনির্দিষ্ট করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক থেকে দেওয়া চিঠিতেও সব কটির তালিকা না থাকায় আবার পাঠাতে বলা হয়েছে। বিষয়টি উপাচার্য অবগত আছেন।

রহিমা কানিজ আরও বলেন, ‘রাজউক বলেছে সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে। কিন্তু একটা ভবন তো চাইলেই সাত দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলা যায় না। হল ভাঙার সঙ্গে অনেক শিক্ষার্থী স্থানান্তরের বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয় জড়িত। এ জন্য সিন্ডিকেটে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সালাম মোহাম্মদ শরিফ প্রথম আলোকে বলেন, রাজউকের দেওয়া প্রথম চিঠি তিনি পেয়েছিলেন। যেখানে ৩টি ভবন ভাঙা এবং ১০টি মজবুতকরণ করতে বলা হয়েছিল। পরে সংশোধিত চিঠি তিনি এখনো পাননি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মীর মশাররফ হোসেন হল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করা হয়। সে হিসেবে এটি জাবির দ্বিতীয় হল। হলটি প্রতিষ্ঠাকালীন হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ হলের আবাসিক ছাত্র ছিল।