মানিকগঞ্জে শিলের আঘাতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী গ্রেপ্তার

নিহত তাসলিমা আক্তার ও তাঁর স্বামী জাহিদুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় স্বামী মসলা বাটার শিল দিয়ে আঘাত করে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত গৃহবধূর বড় ভাই এ অভিযোগ করেন। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের উকিয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম তাসলিমা আক্তার (২৫)। তিনি উকিয়ারা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের (৩৫) স্ত্রী। এই দম্পতির ৭ ও ৪ বছর বয়সী দুই ছেলে আছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা আহম্মদ আলী বাদী হয়ে আজ রোববার সকালে মানিকগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। জাহিদুল সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে চাকরি করেন।

নিহত তাসলিমার বড় ভাই লাল মিয়া বলেন, তাঁর বোনকে পরিকল্পিতভাবে মসলা বাটার শিল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর বোনের হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।

স্বজন, পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে উকিয়ারা গ্রামের আহম্মদ আলীর মেয়ে তাসলিমা আক্তারকে বিয়ে করেন একই গ্রামের জাহিদুল ইসলাম। বিয়ের পর তাঁদের দাম্পত্যজীবন ভালোই কাটছিল। তবে সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। ঝগড়ার জেরে গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে থাকার ঘরে খাটের ওপর মসলা বাটার শিল দিয়ে জাহিদুল তাঁর স্ত্রী তাসলিমার মাথায় এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে তাসলিমার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে এবং মাথা থেকে মগজ বের হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন জাহিদুলকে আটক করে সদর থানার পুলিশকে জানান। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাসলিমার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

স্থানীয় জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে জাহিদুল তাঁর স্ত্রীকে মসলা বাটার শিল দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছেন। পরে স্থানীয় লোকজন জাহিদুলকে আটক করে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহত নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।