ভাঙ্গায় সড়ক থেকে তুলে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩

আটক
প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোড থেকে তুলে নিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন চান্দ্রা ইউনিয়নের সাইফুর রহমান (২১), তাহসিন মুন্সী (২০) ও মুন্না মিয়া (২০)। এই ঘটনায় ওই মাদ্রাসাছাত্রী মা আজ শনিবার ভাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ওই তিন তরুণের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৫) তার প্রেমিকের (২৪) সঙ্গে ভ্যানে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ইন্টারসেকশনে ঘুরতে আসে। ভাঙ্গা থেকে আবার ভ্যানে করে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস রোড দিয়ে শিবচরের দিকে যাচ্ছিল। পথে ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের বামনকান্দা এলাকায় ফাঁকা জায়গায় পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল তাদের ভ্যানের গতি রোধ করে। ওই মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী ছিলেন। এরপর মোটরসাইকেল আরোহীরা ভ্যানচালক শিবচর উপজেলার গুপ্তেরকান্দি গ্রামের আলমগীর সরদার এবং মাদ্রাসাছাত্রীর প্রেমিককে মারধর করে। একপর্যায়ে তাঁরা ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে জোর করে পাশের ঝোপের আড়ালে নিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করেন।

ওই সময়ই সার্ভিস রোড দিয়ে ভাঙ্গা থানার টহল পুলিশের একটি দল যাচ্ছিল। পুলিশ ওই মাদ্রাসাছাত্রীর চিৎকার শুনে সড়কের পাশের ওই ঝোপে গিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাইফুর রহমানকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর অন্য দুই সহযোগী পালিয়ে যান। পরে সাইফুর রহমানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ সকাল ১০টার দিকে তাহসিন মুন্সী ও মুন্না মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন আল রশিদ বলেন, মেয়েটি তার প্রেমিককে নিয়ে ভাঙ্গা থেকে ঘুরে ভ্যানে শিবচর যাওয়ার সময় ভাঙ্গার বামনকান্দা এলাকায় ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়। এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করার মামলায় ওই তিন তরুণকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে।