নওগাঁয় বিস্ফোরক মামলায় বিএনপির ১৬ নেতা-কর্মী কারাগারে

নওগাঁ জেলার মানচিত্র

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৬ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তাঁরা সবাই হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিন চাইলে তা নামঞ্জুর করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল।

বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন আসামিদের আইনজীবী মিনহাজুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘আদালত তাঁদের সবাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আমরা পরবর্তীকালে আবার জামিন চাইব।’

কারাগারে পাঠানো বিএনপির নেতা-কর্মীরা হলেন—পত্নীতলা উপজেলা যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক বায়েজিদ রায়হান, নজিপুর পৌর যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল কাদের, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ওবায়দুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলী সরদার, আকবর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ও সহসভাপতি জুয়েল, পত্নীতলা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আবদুল বাতেন ও শাহির হোসেন, নজিপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, নজিপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলামিন কবির জামাল, নজিপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বিএনপির কর্মী লিটু ফকির, সুব্রত কুমার, যুবদলের কর্মী উজ্জ্বল হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সহপ্রচার সম্পাদক রাকিবুল হাসান এবং পত্নীতলা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে নজিপুর বাজার এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলীয় সভা ছিল। সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নজিপুর পৌরসভার বাদপুঁইয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাপ্পী চক্রবর্তী নামের এক আওয়ামী লীগের কর্মী বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ২৩ নেতা কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। এ মামলায় ওই ১৬ নেতা-কর্মী ৬ সপ্তাহ আগে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষে আজ নওগাঁর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুনরায় জামিন চাইলে বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।