বাসের লকারে ২৭ কেজি গাঁজা, অতপর...

জব্দ করা ২৭ কেজি গাঁজা। রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সদর থানা চত্বরেছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে পঞ্চগড়ে যাওয়ার জন্য শনিবার রাতে ভিআইপি পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন এক দম্পতি। তাঁরা বাসের লকারে দুটি বস্তা রাখেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, ওই বস্তায় গাঁজা নিয়ে পঞ্চগড়ে যাচ্ছেন ওই দম্পতি।

আজ রোববার সকালে বাসটি পঞ্চগড় শহরের ধাক্কামারা এলাকায় করতোয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে পৌঁছালে বাসের লোকজনের সহায়তায় ওই দম্পতিকে আটক করে পঞ্চগড় সদর থানা-পুলিশ। একই সঙ্গে বাসের লকার থেকে দুটি বস্তায় ২৭ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুকানপুখুরী ইউনিয়নের লাউথুতি এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৪০)। মাদক জব্দের ঘটনায় আজ দুপুরে সদর থানার উপপরিদর্শক রাশেদুল আলম চৌধুরী বাদী হয়ে ওই দম্পতিসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে মোজাম্মেল ও রওশন আরা বাসের লকারে দুটি বস্তা রেখে বাসে ওঠেন। গোপন সংবাদে পুলিশ জানতে পারে, তাঁরা গাঁজার বড় চালান নিয়ে পঞ্চগড়ে আসছেন। পঞ্চগড়ের বোর্ড অফিস এলাকায় এক ব্যক্তির কাছে এসব গাঁজা হস্তান্তর করার কথা ছিল। শহরের ধাক্কামারা এলাকায় করতোয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ। সকালে বাসটি পঞ্চগড়ে পৌঁছালে পুলিশ তল্লাশি করে ওই দম্পতিকে আটক করে এবং তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাসের লকার থেকে দুটি বড় বস্তায় থাকা ২৭টি এক কেজির গাঁজার প্যাকেট জব্দ করে।

দুপুরে পুলিশ হেফাজতে থাকা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমি গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকায় রিকশা চালাই এবং পরিবার নিয়ে সেখানে থাকি। কোনাবাড়ীতে এক ব্যক্তি আমাকে দুটি বস্তা এনে বোর্ড অফিসের এক ব্যক্তিকে দিতে বলেন। এ জন্য আমাকে ১০ হাজার টাকা দিতে চান। আমি জেনেছি, বস্তায় গাঁজা আছে। এরপরও ১০ হাজার টাকার লোভে পড়ে পৌঁছে দিতে রাজি হই। পরে গাড়ির লোকজন গাঁজা থাকার বিষয়টি বুঝতে পারে এবং পুলিশও খবর পায়।’

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রঞ্জু আহম্মেদ বলেন, ২৭ কেজি গাঁজা জব্দের পাশাপাশি ওই দম্পতিকে আটক করে থানায় আনা হয়। ওই দম্পতিসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ওই দম্পতিকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া গাঁজা ব্যবসায় জড়িত পুরো চক্রটিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।