মির্জাগঞ্জে মিলল মালিকবিহীন ৬ মহিষের বাচ্চা, এলাকায় চাঞ্চল্য

গাছের সঙ্গে বাধা মহিষের বাচ্চাগুলো। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত কেউ বাচ্চাগুলোর মালিকানা দাবি করেননি। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডেছবি: প্রথম আলো

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় মালিকবিহীন ছয়টি মহিষের বাচ্চা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আমানত জামে মসজিদের সামনে মহিষের বাচ্চাগুলোকে খড়কুটো খেতে দেখা যায়। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত কেউ সেগুলোর মালিকানা দাবি করেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা শিপন মল্লিক (৪৫) প্রথমে মহিষের বাচ্চাগুলো দেখতে পান। তিনি বলেন, ভোরবেলা বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদের সামনে ছয়টি মহিষের বাচ্চাকে খড়কুটো খেতে দেখেন। এর আগে কখনো মহিষের বাচ্চাগুলোকে এলাকায় দেখা যায়নি। পরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মির্জাগঞ্জ থানার পুলিশকে বিষয়টি জানান।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। মহিষের বাচ্চাগুলোর ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়। তবে মালিককে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে নানা আলোচনা ও রহস্য তৈরি হয়েছে। মহিষের বাচ্চাগুলো স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছে।

মো. শাহজালাল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘হয়তো নদী পথে চোরেরা মহিষের বাচ্চাগুলো নিয়ে অন্যত্র যাচ্ছিল। ভোর হয়ে যাওয়ায় ধরা পড়ার ভয়ে বাচ্চাগুলো ফেলে পালিয়ে গেছে।’

এদিকে মেহেদী হাসান নামে এক ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে মহিষের বাচ্চাগুলো নিতে এলে তাঁর কথাবার্তায় অসংগতি পায় পুলিশ। সঠিক প্রমাণ দিতে না পারায় তাঁকে থানায় আটকে রাখা হয়।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মহিষের বাচ্চাগুলোর মালিক এখনো পাওয়া যায়নি। এগুলো চোরাই কিনা বা কীভাবে এখানে এল—তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ মহিষের বাচ্চাগুলো স্থানীয় এক ব্যক্তির জিম্মায় রাখা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।