বিএনপি নেতাদের আগমন ঠেকাতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ

নোয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রায় অংশ নিতে আসা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের গাড়ি বহর ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সোনাইমুড়ী বাইপাস সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির পদযাত্রা ঘিরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নোয়াখালীতে আসা ঠেকাতে সোনাইমুড়ী উপজেলাতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ এবং মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সোনাইমুড়ী থানার সামনে নোয়াখালী-কুমিল্লা বাইপাস সড়কে এসব ঘটনা ঘটে।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। সামনে পুলিশ থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করেছে। তবে ঢাকা থেকে আসা কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ আহত হননি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার নোয়াখালীতে বিএনপির আয়োজনে কৃষক-শ্রমিক, জেলে-তাঁতি, শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই ঢাকা থেকে নোয়াখালীতে আসেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আসার কথা ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ইশরাক হোসেনের। তিনি সোনাইমুড়ী বাইপাস (নোয়াখালী-কুমিল্লা সড়ক) সড়কে এলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর বিক্ষিপ্তভাবে হামলা চালান। তাঁরা এ সময় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এতে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাইপাস সড়ক এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র মোতায়ের হোসেন অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা জেলায় বিএনপির পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতাদের অংশগ্রহণ ঠেকাতে আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সোনাইমুড়ী বাইপাস সড়কে ভীতিকর পরিবেশের সৃষ্টি করেন। তাঁরা এ সময় বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। তাঁরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। কিন্তু পুলিশ এ সময় নীরব ছিল। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সংযম প্রদর্শন করে কেন্দ্রীয় নেতা ইশরাক হোসেনকে ফুল দিয়ে বরণ করে সোনাইমুড়ী অতিক্রম করতে সহায়তা করেন।

বিএনপি নেতার অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম। তিনি বলেন, বিএনপির নেতাদের যাত্রা ঠেকাতে আওয়ামী লীগ কিংবা দলের সহযোগী সংগঠনের কেউ সেখানে যায়নি। বিএনপির দুটি পক্ষ রয়েছে। তাঁদের অভ্যন্তরীণ কোনো ঝামেলা হয়েছে কি না তা তিনি বলতে পারবেন না।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, রাস্তায় দুই পক্ষের হালকা ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কেউ আহত হয়নি  কিংবা মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের কোনো অভিযোগ কেউ দেয়নি। শহরে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।