সড়ক উন্নয়নকাজের সুবিধার কথা বলে কাটা হলো অর্ধশত গাছ

সড়কে গাছ কাটার কাজ করছেন শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলেছবি: প্রথম আলো

সড়কের দুই পাশে থাকা গাছ কাটা হচ্ছে একের পর এক। কেটে ফেলা কিছু গাছের গুঁড়ি স্তূপ করে রাখা হয়েছে একপাশে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে এমনই চিত্র চোখে পড়ে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের পুরাতন রঘুন্দন চৌধুরী হাট এলাকার বিন্দুবাসিনী সড়কে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পিচঢালাই করার কাজে ব্যবহৃত যানবাহন চালানোর সুবিধার্থে ঠিকাদারের নির্দেশে সড়কের দুই পাশের গাছ কেটে ফেলছেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। এরই মধ্যে কাটা হয়েছে প্রায় অর্ধশত গাছ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় দেড় কিলোমিটার। আগে সড়কটিতে ইট বিছানো ছিল। এখন পিচ ঢালাইয়ের জন্য পুরো সড়কে মেকাডম করা হয়েছে। সড়কের ৩০০ মিটার এলাকায় ৫-৭ জন শ্রমিক রেইনট্রিসহ বিভিন্ন গাছ কাটার কাজ করছেন। কেউ গাছের ডাল, কেউ আবার গাছের গোড়া কাটতে ব্যস্ত। সড়কের দুই পাশে কেটে নেওয়া প্রায় অর্ধশত গাছের গোড়া পড়ে রয়েছে। আরও প্রায় অর্ধশত গাছ কাটার জন্য চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম নামের এক শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, গত ৪-৫ দিন ধরে তাঁরা গাছ কাটার কাজ করছেন। প্রায় ৪০টি গাছ কেটেছেন।

সড়কের দুপাশে স্তূপ করে রাখা হয়েছে কেটে ফেলা গাছের গুঁড়ি। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

স্থানীয় ইউপি সদস্য লোকমান হাকিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত গাছ কাটা দেখে অবাক হয়েছি। সড়কের পিচ ঢালাইয়ের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারের কথামতো স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি গাছগুলো কেটে নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি, অথচ একবারও আমাকে গাছ কাটার বিষয়টি জানানো হয়নি।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অধীনে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটি পিচ ঢালাই করা হচ্ছে। ঠিকাদারের অধীনে কাজটি করছেন পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবু তৈয়ব। জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কের পিচ ঢালাইয়ে ব্যবহৃত রোলার চালানোর সুবিধার্থে গাছগুলো কাটতে বলা হয়েছে। গাছগুলো না কাটলে পিচ ঢালাই করতে সমস্যা হতো। সড়কের দুই পাশে যাঁরা রোপণ করেছিলেন, তাঁরাই গাছ কেটে নিচ্ছেন। তবে প্রয়োজনের তুলনায় অনেকেই বেশি গাছ কেটে ফেলেছেন।