দলীয় কোন্দলের কারণে ১১ বছর পর পৌর ভবনে গেলেন সংসদ সদস্য

পৌর মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ১১ বছর পর পৌর ভবনে যান সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিন
ছবি: সংগৃহীত

নিজের সংসদীয় আসন যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পৌর ভবনে ১১ বছর পর পা রাখলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। আজ রোববার নবনির্বাচিত পৌর মেয়রের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি।

সদ্য বিদায়ী মেয়র আশরাফুল আলম ওরফে লিটনের সঙ্গে দলীয় কোন্দলের কারণে ১১ বছর তিনি পৌর ভবনে যাননি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, ২০১২ সাল পর্যন্ত শার্শা উপজেলায় আধিপত্যের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। তাঁর অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করতেন সাবেক মেয়র আশরাফুল। সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের অনুসারী থাকতে ২০১১ সালে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন আশরাফুল। এরপর ২০১২ সালে বেনাপোল পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কর্তৃত্ব নিয়ে আফিল ও আশরাফুলের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। সেই দ্বন্দ্বের জেরে শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগ দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে যায়। শেখ আফিল উদ্দিন এক পক্ষের ও আশরাফুল অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন। আশরাফুল যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর আফিল উদ্দিন একই কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য।

আশরাফুল পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে ১১ বছর পৌরসভায় যাননি সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিন। সর্বশেষ গত ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নেননি আশরাফুল। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আফিলের অনুসারী বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বিজয়ী হন।

আজ বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল পৌরসভার দায়িত্ব গ্রহণ করেন নির্বাচিত মেয়র নাসির উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিন। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও শার্শা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইসলামের কাছ থেকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝে নেন নাসির।

দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর সংসদ সদস্য আফিল উদ্দিনের পা ছুঁয়ে সালাম করে মেয়রের চেয়ারে বসেন নাসির। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মেয়রকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দেন আফিল উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সেই এক যুগ আগে এই পৌরসভায় প্রবেশ করেছিলাম। আজ আবার এলাম। কী উন্নয়ন হয়েছে, সেটা পৌরবাসী জানেন। এবার কী উন্নয়ন হবে, সেটাও দেখবেন পৌরবাসী।’

অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে সাবেক মেয়র আশরাফুলসহ তাঁর অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন না।

পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক সুকুমার দাস বলেন, ‘সংসদ সদস্য ও মেয়রের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলে উন্নয়নের একটা বাতাবরণ তৈরি হয়। যেহেতু একই আদর্শের সরকারের জনপ্রতিনিধি তাঁরা।’