বরগুনায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবারও মৃত্যু

ডেঙ্গু
প্রতীকী ছবি

বরগুনায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। এবার মারা গেছেন চান মিয়া (৭৫) নামের এক ব্যক্তি। আজ বুধবার দুপুরে বরগুনা সদর হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

চান মিয়া বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বরগুনা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাজকিয়া সিদ্দিকাহ প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে পাঁচ দিনের ব্যবধানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে ৬ জুন বরগুনার থানাপাড়া এলাকার আজমেরী মোনালিসা জেরিন (২৫) নামের এক নারী উদ্যোক্তা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ নিয়ে চলতি বছরে বরগুনা জেলায় মোট চারজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলো।

স্বজনদের বরাতে জানা যায়, গত সোমবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত চান মিয়াকে বরগুনা সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় চান মিয়ার রক্তে ৬৪ হাজার প্লাটিলেট ছিল।
মৃত চান মিয়ার মেয়ে কুলসুম বলেন, ‘তিন দিন আগে বাবাকে বরগুনা হাসপাতালে ভর্তি করাই। হাসপাতালের ডাক্তাররা বাবাকে স্যালাইন দেন। আজ সকালে বাবার রক্ত পরীক্ষা করা হয়। এতে তাঁর প্লাটিলেট ছিল ৬৪ হাজার। আজ দুপুরে বাবা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আগামীকাল সকালে বাবার দাফন করা হবে।’

বরগুনা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাজকিয়া সিদ্দিকাহ প্রথম আলোকে জানান, যিনি মারা গেছেন, তিনি তিন দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ সকালে তাঁর অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিচিৎসার জন্য বরিশালের শের–ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্বজনেরা তাঁকে বরিশালে নিয়ে না যাওয়ায় দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।

বরগুনা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৭৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৭২ জন। এর মধ্যে ৩১টি শিশুও রয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, মারা গেছেন ৪ জন।