মাগুরায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির ২৪ নেতা-কর্মী কারাগারে

আদালত
প্রতীকী ছবি

মাগুরায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পুলিশের করা মামলায় বিএনপির ২৪ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিএনপির ৩০ নেতা-কর্মী আত্মসমর্পণ করলে ২৪ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

পরীক্ষা ও অসুস্থতার কারণে বাকি ছয়জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, যে মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, সেটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ‘গায়েবি’ মামলা।

আইনজীবীরা জানিয়েছেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি করেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রমজান আলী। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২২ ফেব্রুয়ারি রাতে দায়িত্ব পালনের সময় এসআই রমজান আলী জানতে পারেন, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটানোর জন্য বিএনপির নেতারা পৌরসভার পারলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়েছেন। তখন পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের দাবি, ওই ঘটনায় অন্য ব্যক্তিরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে আমিনুর রহমান ও ওয়াজেদ বিশ্বাস নামের বিএনপির দুই নেতাকে আটক করে পুলিশ। মামলায় তাঁরা দুজনসহ মোট ৪১ আসামির নাম উল্লেখ এবং ৫০–৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

মামলায় এজাহারভুক্ত ওই ৩০ আসামি উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। আজ তাঁরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত ছয়জনের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠান। কারাগারে যাওয়া আসামিদের মধ্যে জেলা বিএনপির নেতা সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মিজানুর রহমানও আছেন।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের আইনজীবী শাহেদ হাসান প্রথম আলোকে বলেন, যে মামলায় বিএনপির নেতাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, সেটা ‘গায়েবি’ মামলা। যে ঘটনার কোনো ভিত্তিই নেই। বিএনপির নেতাদের মাঠছাড়া করতে গত কয়েক মাসে এমন আরও কয়েকটি ‘গায়েবি’ মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় বিএনপির কয়েক শ নেতা-কর্মী ইতিমধ্যে কারাবরণ করেছেন।