লক্ষ্মীপুরে পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর বাস চলাচল শুরু

লক্ষ্মীপুর জেলার মানচিত্র

লক্ষ্মীপুরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় টানা পাঁচ দিন পর বাস চলাচল শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকালে লক্ষ্মীপুর থেকে ফেনীগামী বাসগুলো চলাচল করছে। পুলিশ ও প্রশাসকের কাছ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস পাওয়ার পর বাসমালিকেরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন।

আজ সকালে লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, বাস কাউন্টার খুলেছে। শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততাও বেড়েছে। সেই সঙ্গে সকাল থেকেই যাত্রীরা ফেনী যাওয়ার জন্য কাউন্টারের সামনে ভিড় করছেন। বাসযাত্রী ইকবাল হোসেন ও মনির আহমেদ বলেন, লক্ষ্মীপুর থেকে ফেনী যাওয়ার জন্য কয়েক দিন বাস বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীর কষ্ট হয়েছে। তবে এখন বাস চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে।

গত ৬ ডিসেম্বর চাঁদার দাবিতে লক্ষ্মীপুর শহরের বাস টার্মিনালে যমুনা হাই ডিলাক্স পরিবহনের কাউন্টারে তালা দেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও তাঁর ভাই রাকিব পাটোয়ারী। এরপর ৪ ফেব্রুয়ারি দুই শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। চাঁদা দাবি ও শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার থেকে ৫২টি বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিকপক্ষ। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।

ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে যমুনা হাই ডিলাক্স পরিবহন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, আজ রোববার সকাল থেকে আগের মতো সব বাস স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। তিনি আরও বলেন, ‘মাসে দুই লাখ টাকা করে চাঁদা না দেওয়ার কারণে যমুনা পরিবহনের টিকিট বিক্রির কাউন্টারে তালা ঝোলান সাইফুল ইসলাম। এরপরও আমরা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ার কারণে তাঁরা বাসের টিকিট ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ সময় শ্রমিকদের ওপর হামলা করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে যমুনা পরিবহনের ৫২টি বাস চলাচল বন্ধ রেখেছিলাম আমরা।’

চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, যমুনা হাই ডিলাক্স পরিবহনে তাঁর পরিবারের তিনটি বাস চলাচল করে। আবুল কাশেম প্রতিটি বাস থেকে প্রতিদিন ৬০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন। এই টাকা না নেওয়ার জন্য তিনি প্রতিবাদ করেছেন।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, যমুনা হাই ডিলাক্স পরিবহনের বাসগুলো চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। যাত্রীরা বাসে করে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে পারছেন।