ভোলায় বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ

ভোলায় ছাত্রদল নেতা হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ। আজ সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার সদর রোডেছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া।

ভোলার সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী রেজওয়ান আমিন শিফাত (২৮) হত্যার ঘটনায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আজ সোমবার বিক্ষোভ চলাকালে শহরের নতুনবাজার এলাকায় বিএনপির বিরুদ্ধে বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও বর্জ্য ফেলে নোংরা করার অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে বিএনপি ওই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিক্ষোভের আগে ভোলা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে একটি প্রতিবাদ সভা হয়। সভায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ, হুমায়ুন কবির, এনামুল হক, ভোলা সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসিফ আলতাফ, সদস্যসচিব মো. হেলাল উদ্দিন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল আমিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ছাত্রদল নেতা রেজওয়ান আমিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং গত বছরের ৫ আগস্টের পর তারা বিজেপিতে যোগ দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভ মিছিলটি ভোলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলা স্কুল হয়ে নতুনবাজার এলাকায় যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা নতুনবাজারে অবস্থিত বিজেপির কার্যালয়ে হামলা চালান।

ভোলা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, খন্দকার আল আমিন ও আসিফ আলতাফের নেতৃত্বে একদল লোক তাঁদের কার্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাব ভাঙচুর করেন এবং বর্জ্য ফেলে নোংরা করে দেন।

আসিফ আলতাফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

খন্দকার আল আমিন বলেন, তিনি মিছিলে ছিলেন। সে সময় কে বা কারা বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুর করেছে, তা তিনি জানেন না।

২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় মাগরিবের নামাজের পর রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেজওয়ান আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি ভোলা সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র এবং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন।

ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, নিহত রেজওয়ানের মা বাদী হয়ে হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২৫ ডিসেম্বর ১৯ জনকে আসামি করে ভোলা সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে গতকাল বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুরের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে।