জামিনে মুক্তি পেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

কারাগার থেকে বাড়িতে ফেরার পর দুধ দিয়ে গোসল করানো হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারকে। মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নে
ছবি: প্রথম আলো

নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনায় করা একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর ২৩ দিন কারাগারে ছিলেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর আজ মঙ্গলবার বিকেলে সাগরদিঘীর নিজ বাড়িতে এসে দুধ দিয়ে গোসল করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। হেকমত সিকদার ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, গতকাল সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলহাজত থেকে জামিনে মুক্তি পান হেকমত সিকদার। এরপর তিনি টাঙ্গাইল পৌরশহরস্থ কুমুদিনী কলেজ গেটসংলগ্ন নিজ বাড়িতে রাতযাপন করেন।

দুপুরে সাগরদিঘীতে গিয়ে আনন্দমিছিলে অংশ নেন। বিকেলে সাগরদিঘীর বাড়িতে গিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করেন তিনি।

হেকমত সিকদার বলেন, ‘আমার পরিবারের কেউ কখনো জেল খাটেনি। আমিই প্রথম কারাগারে গিয়েছি। বাড়িতে আসার পর পরিবারের লোকজন দুধ দিয়ে গোসল করিয়েছেন।’

মামলা সূত্রে জানা যায়, সাগরদিঘী ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ। এর আগের দিন ২৮ মার্চ দিনগত রাতে গুপ্তবৃন্দাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখল করে ব্যালট পেপারে সিল মারছিলেন হেকমত সিকদারের লোকজন।

এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুল্লাহ বাহারের সমর্থকেরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে স্থানীয় যুবদল নেতা আবদুল মালেক নিহত হন।

এ ঘটনায় নিহত মালেকের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ঘাটাইল থানা আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। গত এক জানুয়ারি ওই মামলার প্রধান আসামি হেকমত সিকদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।