বিরলে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেন ১০ সদস্য

দিনাজপুর জেলার মানচিত্র
দিনাজপুর জেলার মানচিত্র

দিনাজপুরে বিরল উপজেলার ভান্ডারা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মামুনের রশিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন পরিষদের ১০ জন সদস্য।

মামুনুর রশিদ ভান্ডারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি টানা দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের নিয়ে প্রতি মাসে অন্তত একটি সভা করার কথা। তবে চেয়ার‍ম্যান চার-পাঁচ মাস পর একটি সভা ডাকেন। অনেক সময় পূর্ববর্তী কোনো নোটিশ ছাড়াই সভা করেন। উপকারভোগীদের মধ্যে ভিজিএফ, ভিডব্লিউডি, মাতৃত্বকালীন ভাতা, টিআর, কাবিখা ও অন্য সব ক্ষেত্রে একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং পছন্দের লোকদের মধ্যে বিলি বণ্টন করেন। প্রায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে ভাতা পাচ্ছেন না সংরক্ষিত ওয়ার্ড ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যরা।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সব সময় তাঁরা (ইউপি সদস্যরা) অসহযোগিতা করে যাচ্ছেন। সরকার নির্দেশ দিয়েছেন ১১ তারিখে ভিজিডির চাল বিতরণ শুরু করতে হবে। যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যদের অবহিত করে কাজটি শুরু করেছি। ডাকলেও তাঁরা আসেননি।’ সদস্যদের ভাতা না দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পরিষদের আয়ের ওপরেই ভাতা পাওয়া না–পাওয়া নির্ভর করে। সেই অর্থে পরিষদের কোনো আয় নেই। অথচ তাঁরাসহ গ্রাম পুলিশ, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারীর বেতন এবং অফিস খরচও পরিষদের আয় থেকে নির্বাহ করতে হয়। তাঁরা যে অভিযোগ করছেন, সেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে সদস্যরা কোনো প্রকার সহযোগিতা করেন না।

ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সামিদুর রহমান বলেন, ‘স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভীষণ কষ্টে দিন পার করতেছি। মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাতা পাই। এর মধ্যে সাড়ে চার হাজার পাই রাজস্ব খাত থেকে বাকি সাড়ে পাঁচ হাজার পাই পরিষদের আয় থেকে। আড়াই বছর ধরে পরিষদের অংশের কোনো ভাতা পাই না। ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ১ শতাংশ টাকা ইউনিয়ন পরিষদে জমা হয়। সেই টাকার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।’

এ বিষয়ে ইউএনও বহ্নি শিখা রায় বলেন, ভান্ডারা ইউপির কয়েকজন সদস্য ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।