এনআইডি পাল্টিয়েও রক্ষা হয়নি, পুলিশের জালে ধরা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি
প্রায় আট বছর আগে এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠায় পালিয়ে যান বিদেশে। পরে দেশে ফিরে গ্রেপ্তার থেকে বাঁচতে জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) পরিবর্তন করেন বাবার নাম। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হতে হয়েছে তাঁকে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন থেকে আবদুর রহিম নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৫ সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নে এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। এরপর মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রহিমসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরে আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুকিব হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার সাত থেকে আট মাসের মাথায় আবদুর রহিম কাতারে পাড়ি জমান। সেখান থেকে দুই বছর পর ফিরে এসে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে ওই জিডি ব্যবহার করে তিনি নিজের বাবার নাম সংশোধন করে আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্র নেন। ওই জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর বাবার নাম আবদুল বারেকের পরিবর্তে আবদুর রব হিসেবে সংশোধন করা হয়। যার কারণে পরোয়ানা থাকার পরও তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছিল না।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, আসামির জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আবদুল বারেক ও আবদুর রব যে একই ব্যক্তি সে বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রত্যয়নপত্র নেওয়া হয়। পরে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর মামলার বাদী আসামিকে শনাক্ত করেছেন। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।