পাবনার গ্রেপ্তার ১২ জনসহ ৩৭ কৃষকের জামিন

আদালত
প্রতীকী ছবি

পাবনার ঈশ্বরদীতে ঋণসংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার ১২ জনসহ ৩৭ কৃষকের জামিন মঞ্জুর হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মো. শামসুজ্জামান এই আদেশ দেন।

আরও পড়ুন

যাঁরা গ্রেপ্তার আছেন, তাঁরা হলেন উপজেলার ভাড়ইমারি গ্রামের আলম প্রামাণিক (৫০), মাহাতাব মণ্ডল (৪৫), কিতাব আলী (৫০), হান্নান মিয়া (৪৩), মোহাম্মদ মজনু (৪০), মোহাম্মদ আতিয়ার রহমান (৫০), আবদুল গণি মণ্ডল (৫০), শামীম হোসেন (৪৫), সামাদ প্রামাণিক (৪৩), নূর বক্স (৪৫), মোহাম্মদ আকরাম (৪৬) ও মোহাম্মদ রজব আলী (৪০)। তাঁরা সবাই প্রান্তিক কৃষক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ৩৭ জন প্রান্তিক কৃষকের একটি দলকে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়। ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগে ২০২১ সালে ব্যাংকের পক্ষে তৎকালীন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাহমুদ বাদী হয়ে ৩৭ জনের নামে মামলা করেন। ২৩ নভেম্বর পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। ২৫ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত পরোয়ানাভুক্ত ৩৭ জনের মধ্যে ১২ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।

আরও পড়ুন

কৃষক ও তাদের পরিবারের দাবি, ঋণ গ্রহণের পর এক বছরের মাথায় অধিকাংশ ঋণগ্রহীতা তাদের ঋণ পরিশোধ করেছেন। তার পাস বই ও জমা স্লিপও আছে। অথচ সেই অর্থ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা জমা না করে আত্মসাৎ করেছেন। ফলে তাদের এই হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।

আদালত চত্বরে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কৃষিতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত বুধবার যখন কৃষকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়, তখন সবাই এলাকায় শীতের রাতে গাজরের খেতে কাজ করছিলেন। বাড়ি ও বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। বাকিরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। তিনি দ্রুত কৃষকদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

আরও পড়ুন

মামলার বাদী বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাহমুদ বলেন, কৃষকেরা ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলা করা হয়। খেলাপি ঋণ আদায়ে এটা চলমান প্রক্রিয়া।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে কৃষকেরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।