পাবনায় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুকের পিএস ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দুর্নীতি দমন কমিশনের লোগো

পাবনা-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) শেখ রাসেল আলী ও তাঁর স্ত্রী নাছরিন আক্তারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক খায়রুল হক বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন।

মামলায় শেখ রাসেল আলীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭৯ টাকা ও তাঁর স্ত্রী নাছরিন আক্তারের বিরুদ্ধে ২৭ লাখ ২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের সমন্বিত পাবনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে শেখ রাসেল আলী ও তাঁর স্ত্রী নাছরিন আক্তারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ মার্চ তাঁদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেয় দুদক। দুজন আদেশটি স্বাক্ষর করে গ্রহণ করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাঁরা সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। পরবর্তী সময়ে দুদক অনুসন্ধানে দেখতে পায়, শেখ রাসেল আলীর নামে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৬ টাকার স্থাবর ও ৪১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৪২ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ আছে। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় ২৮ লাখ ২৩ হাজার ৮০৬ টাকা খরচ করেছেন। এ নিয়ে তাঁর মোট সম্পদ দাঁড়ায় ২ কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৮ টাকা। কিন্তু তাঁর মোট জ্ঞাত আয় পাওয়া গেছে ১ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার ৭০৫ টাকা। বাকি ১ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯৭৯ টাকা অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগদখল করছেন তিনি।

অন্যদিকে শেখ রাসেলের স্ত্রী নাছরিন আক্তারের নামে ২৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। তাঁর মোট সম্পদ অর্জনের পরিমাণ ২৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। কিন্তু তাঁর জ্ঞাত আয় পাওয়া গেছে ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। বাকি ২৭ লাখ ২ হাজার টাকা তিনি জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করে ভোগদখল করছেন।

দুদকের পাবনা কার্যালয়ের উপপরিচালক খায়রুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে। এরপরও তাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে আইন লঙ্ঘন করেছেন। দুটি বিষয় উল্লেখ করেই মামলা করা হয়েছে। মামলা দুটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।