পটুয়াখালীতে তরমুজখেত থেকে উদ্ধার করা চিত্রা হরিণ দুটি অবমুক্ত

উদ্ধার করা চিত্রা হরিণ দুটি শনিবার বিকেলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজ ইউনিয়নের সোনারচর বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য কেন্দ্রে অবমুক্ত করা হয়েছেছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর গলাচিপার চর বিশ্বাস ইউনিয়নের চর আগস্তি গ্রামের তরমুজখেত থেকে উদ্ধার করা চিত্রা হরিণ দুটিকে চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চর মোন্তাজ ইউনিয়নের সোনারচর বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য কেন্দ্রে হরিণ দুটি অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ।

অবমুক্ত করার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বন বিভাগের উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও প্রকল্প পরিচালক (সুফল প্রকল্প) গোবিন্দ রায়, কোস্টাল সার্কেলের (বরিশাল) বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ খান, বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী রেঞ্জ কর্মকর্তা অমিতাভ বসু, চর মোন্তাজ রেঞ্জের কর্মকর্তা এ বি এম মনিরুজ্জামান, গলাচিপা রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

পটুয়াখালীর গলাচিপার লোকালয় থেকে এ দুটি চিত্রা হরিণ উদ্ধার করা হয়। ২০ ডিসেম্বর সকালে বন বিভাগের চর আগস্তি ফরেস্ট ক্যাম্পে
ছবি: প্রথম আলো

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০ ডিসেম্বর সকালে চর বিশ্বাস ইউনিয়নের চর আগস্তি গ্রামের সেলিম সরদারের বাড়িসংলগ্ন তরমুজখেতে হরিণ দুটি তরমুজগাছ খাচ্ছিল। খেতে কাজ করতে যাওয়া কৃষকেরা তা দেখে স্থানীয় ফরেস্ট ক্যাম্পে জানান। খবর পেয়ে বন বিভাগের চর আগস্তি ফরেস্ট ক্যাম্পের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণ দুটিকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। পরে গলাচিপা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কার্যালয়ের চিকিৎসক মো. ফেরদৌস হরিণ দুটির চিকিৎসা দেন।

বন্য প্রাণী চিকিৎসক মো. ফেরদৌস বলেন, হরিণ দুটির মধ্যে একটি একটু আঘাত পেয়েছিল। দুটি হরিণই পুরুষ। এগুলো চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছে। পরে গতকাল বিকেলে হরিণ দুটি অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ।

আরও পড়ুন