বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সাঁকোটি ভেঙে যায়। ১২ বছর আগে বাঁশের সাঁকোটি বানানো হয়।

রংপুরের কাউনিয়ায় পূর্ব নাজিরদহ এলাকায় মানাস নদের ওপর নির্মিত ১৪০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে গেছে। এতে চলাচলে মানুষের ভোগান্তি দেখা দিয়েছেছবি: প্রথম আলো

রংপুরের কাউনিয়ায় মানাস নদে জনগণের চলাচলের জন্য স্থানীয় উদ্যোগে নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় শত শত মানুষের চলাচলে ভোগান্তি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সাঁকোটি ভেঙে যায় বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। ১৪০ ফুট লম্বা ও ১০ ফুট প্রস্থ বাঁশের সাঁকোটি পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। এটি উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের পূর্ব নাজিরদহ গ্রামের দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগের ভরসা ছিল।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে তিস্তার শাখা মানাস নদে নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যায়। এতে করে নদের পাশের মানুষের যাতায়াত সুবিধা বিঘ্নিত হওয়ায় দুর্ভোগ হচ্ছে। 

স্থানীয় লোকজন জানান, একসময় নদের দুই পারের মানুষ নৌকায় পারাপার হতো। লোকজনের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে ১২ বছর আগে বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করা হয়। এর পর প্রতিবছর গ্রামের মানুষ নিজ উদ্যোগে এটি মেরামত ও সংস্কার করে আসছিল। কিন্তু এবার পানির স্রোতে এটি ভেঙে যায়। 

সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় শিশুরা স্কুলে যেতে পারবে না, আরে গেলেও অনেক পথ ঘুরে যেতে হবে। 
হামিদা আক্তার, স্থানীয় বাসিন্দা 

এদিকে গত বছর উপজেলা পরিষদ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটির পাশেই একটি কাঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু কাঠের সাঁকোটির দুই পাড়ে প্রায় ৬০ ফুট নির্মাণকাজ অসমাপ্ত রয়েছে। ফলে নদে পারাপারে সেটি কোনো কাজে আসছে না।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তার শাখা মানাস নদের নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পানিতে পড়ে আছে। বিকল্প পথ না থাকায় লোকজন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

পূর্ব নাজিরদহ গ্রামের বাসিন্দা মমিন মিয়া বলেন, দুই পারের লোকজনের দুই পাশেই অনেক আবাদি জমি রয়েছে। মালামাল আনতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রায় তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে লোকজন উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করতে হচ্ছে। নাজিরদহ এলাকার একজন গৃহিণী হামিদা আক্তার বলেন, সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় শিশুরা স্কুলে যেতে পারবে না, আরে গেলেও অনেক পথ ঘুরে যেতে হবে।

সাঁকোটি প্রতিবছরই সংস্কার করা হয় জানিয়ে হারাগাছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ বলেন, ভেঙে পড়া সাঁকোটির পাশে নির্মিত কাঠের সাঁকোটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও সেটি এখনো সমাপ্ত হয়নি। 

বিষয়টি নজরে আনা হলে কাউনিয়া উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, তিস্তার শাখা মানাস নদের ওপর কাঠের সাঁকোর অসমাপ্ত নির্মাণ কাজ খুব শিগগির শুরু করা হবে।