‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এ যাওয়ায় গৌরনদী-আগৈলঝাড়ার চার নেতার ওপর হামলার অভিযোগ

বরিশালে বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দেওয়ায় গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার ছাত্রদল ও যুবদলের চার নেতার ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত নেতা ও দলীয় সূত্র বলছে, গৌরনদী পৌর এলাকার লাখেরাজ কসবায় এবং উপজেলার টরকী বন্দর এলাকায় ছাত্রদলের, আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামে যুবদল নেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

গৌরনদী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি রনি মাহমুদ অভিযোগ করেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর তিনি লাখেরাজ কসবায় সরকার বাড়ির সামনে জাহাঙ্গীর হোসেনের চায়ের দোকানে চা পান করতে যান। তখন গৌরনদী পৌর ছাত্রলীগের সদস্য আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। খবর পেয়ে স্বজন ও স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফ হোসেন হামলার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রনি মাহমুদের প্রতিপক্ষ তাঁর ওপর হামলা করেছেন। এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নেই।

গৌরনদী পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম আরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, গতকাল টরকী বন্দরে গেলে গৌরনদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সুজন হাওলাদারের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে ছয়জন তাঁর ওপর হামলা চালান।

অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ নেতা সুজন হাওলাদারের বক্তব্য জানা যায়নি।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফজাল হোসেন বলেন, কোনো ঘটনাতেই থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগৈলঝাড়া উপজেলা যুবদলের সদস্য জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি ও আগৈলঝাড়া উপজেলা মৎস্যজীবী দলের একজন জবসেন বাজারে যান। এ সময় আগৈলঝাড়া উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. আল আমিনসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগের সদস্য মো. আল আমিন বলেন, জহিরুল ইসলাম এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেন। তাই চড়থাপ্পড় দিয়ে শাসন করা হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।