সিলেটে এনজিও কর্মী হত্যা মামলায় তরুণ গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

সিলেটে ছুরিকাঘাতে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কর্মী আনোয়ার হোসেন (৪০) হত্যা মামলায় মো. মাহফুজুর রহমান (২০) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেলে সিলেট মহানগর আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গ্রেপ্তার মো. মাহফুজুর রহমানের বাড়ি বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলায়। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকার মোমিনখলায় থাকতেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে হুমায়ূন রশীদ চত্বরের দিকে যাওয়ার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন আনোয়ার হোসেন। তিনি সীমান্তিক নামের একটি এনজিওর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হিসাব বিভাগে কর্মরত ছিলেন। তিনি ভোলা জেলার শ্যামপুর থানার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় সীমান্তিকের উপনির্বাহী পরিচালক হুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মাহফুজুর ও তাঁর এক সহযোগী বুধবার রাতে ছিনতাইয়ের জন্য আনোয়ার হোসেনের পথরোধ করেন। এ সময় মাহফুজুর রহমানের বুকে কামড় বসান আনোয়ার হোসেন। ধস্তাধস্তিতে মাহফুজুরের টি-শার্ট ছিঁড়ে যায়। একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তিনি মারা যান।

ছিনতাইকারীরা আনোয়ার হোসেনের মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেন। মানিব্যাগে ১ হাজার ৩০০ টাকা ছিল। এর মধ্যে ৩০০ টাকা দিয়ে মাহফুজুর রহমান একটি টি-শার্টও কিনেছেন।

দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান তালুকদার বলেন, ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতেই খুন হয়েছেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর লাশ বৃহস্পতিবার বিকেলেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও যাঁরা জড়িত, তাঁদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।