নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন হত্যার প্রতিবাদে বরিশালে বিএনপির বিক্ষোভ

বরিশাল দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপি যৌথভাবে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা এবং নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওনকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বরিশালে যৌথভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরিশাল দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপি। আজ শনিবার দুপুরে নগরের সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

সমাবেশে বিএনপি নেতারা বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার গুলি করে, হত্যা করে, গুম করে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া তীব্র আন্দোলনকে দমন করতে চায়। এত দিন পুলিশ বাহিনী দিয়ে দমন-পীড়ন চালিয়েছে। এখন দলীয় ক্যাডারদেরও এ কাজে নিয়োগ করেছে। সারা দেশে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দল দমনের অভিযানে নেমেছে। বিরোধী দলের কর্মীদের তারা রাজপথে হত্যা করছে, অত্যাচার করছে, নির্যাতন করছে।

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সমালোচনা করে বিএনপির নেতারা বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আজ দেশের মানুষ দিশাহারা। দেশের সব জায়গায় এখন নেই আর নেই অবস্থা। দেশের সব টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করে দেশের অথর্নীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। এখন সেই অবস্থাকে আড়াল করতে বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে। কিন্তু এতে তাদের শেষ রক্ষা হবে না।

বক্তারা বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকার সুপরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার, আইনের শাসন সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।

শাওনের মৃত্যু এ দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে আরও শক্তিশালী করবে দাবি করে বক্তারা বলেন, শাওনের রক্ত বৃথা যাবে না। এ রক্ত চলমান আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে। শুধু শাওন নয়, ভোলায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিমের রক্তের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পথ রচিত হবে।

খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতা–কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। আজ দুপুরে নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে
ছবি: প্রথম আলো

বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবর রহমান, সদস্যসচিব আকতার হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মো. নুরুল আমিন প্রমুখ।

সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, অবৈধ সরকারের উন্নয়নের ফাঁকা বুলি সব ফাঁস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে সরকার বিদ্যুতের স্বয়ংসম্পূর্ণতার গল্প শুনিয়েছিল। এখন বিদ্যুৎ না দিতে পারায় সেই ফাঁকা বুলি মানুষ জেনে গেছে। তাই সরকার এখন ভয় দেখিয়ে গদি রক্ষা করতে চায়।