ঝিনাইদহে খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে চালকলে অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা

ঝিনাইদহে খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে চালকলের গুদামে অভিযান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাটগোপালপুর বাজারে একটি চালকলের গুদামেছবি: প্রথম আলো

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে ঝিনাইদহের হাটগোপালপুর বাজারের একটি চালকলে অভিযান চালিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অভিযানে ধারণক্ষমতার বেশি ধান মজুত ও চালের হিসাব ঠিক না রাখায় ওই চালকলের মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপালপুর বাজারের শুভ প্রগতি অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড চালকলে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান হোসাইন, জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়াসহ চালকলের মালিক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

হাটগোপালপুর বাজারে অভিযান শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ওই চালকলে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত ধান মজুত করা ছিল। এ জন্য কৃষি বিপণন আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই চালকলের মালিককে দ্রুতই প্রশাসনের করে দেওয়া কমিটির মাধ্যমে ধান ক্রাশিং করে চাল বাজারজাত করতে বলা হয়েছে। তারা যেন নিয়মিত সেটি করে, সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে অংশীজনদের সভায় মন্ত্রী বলেন, চালের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে লোকাল সিন্ডিকেট থাকতে পারে। বড় ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে মেসেজ চালাচালি করে দাম নির্ধারণ করলে ছোট ব্যবসায়ীরাও সেই লাইনে যান। চালের বাজারের অস্থিরতার জন্য ব্যবসায়ীদের লোভলালসা দায়ী। তাঁরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কাউকে অপমানিত করতে চান না। যদি কেউ বাধ্য করেন, তাহলে তো করতেই হয়।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে বর্তমানে যে চাল আছে, তাতে আমদানি করার প্রয়োজন নেই। যেন চালের বাজার নিয়ে ম্যাসাকার না হয়ে যায়, সে জন্য বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে ট্যাক্স ফ্রি করা হচ্ছে। আসন্ন রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার যথেষ্ট কঠোর অবস্থানে আছে। আশা করা যায়, পণ্যমূল্য বাড়বে না।’