সিলেটে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, মোটরসাইকেলে আগুন
সিলেটে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিলেট নগরের জিন্দাবাজার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর জেরে রাতভর জিন্দাবাজার ও জল্লারপার এলাকায় উত্তেজনা চলছিল।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল ইসলামের অনুসারী নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অংশ নেয়। তবে কী নিয়ে বিরোধের জেরে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল রাতে সিলেট নগরের বন্দরবাজারের দিক থেকে প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেলে করে জিন্দাবাজার মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় জল্লারপারের দিক থেকে জিন্দাবাজারের দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। জিন্দাবাজার মোড়ের পাশে পৌঁছালে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু করেন। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা যুবলীগের একজনের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং মোটরসাইকেলের আগুন নেভায়। তবে এর আগেই মোটরসাইকেলটি আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।
এ নিয়ে গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জিন্দাবাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি দলীয় কিংবা গ্রুপিং—এমন কিছু নয়। দুই বন্ধুর বিরোধের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি শুনেছেন। অন্যদিকে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
সিলেট কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, কাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, সে তথ্য পুলিশের কাছে নেই। তবে গ্রুপিং নিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। ঘটনাস্থল থেকে পুড়ে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল এবং আরও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলোর প্রকৃত মালিক কে, তা জানার পর আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে।