ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্ট মার্টিনে নির্ঘুম চোখে উৎকণ্ঠার রাত

নির্ঘুম রাত কাটছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া বাসিন্দাদের
ছবি: প্রথম আলো

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে উৎকণ্ঠার এক রাত পার করছেন বাসিন্দারা। দ্বীপের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের মধ্যে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা বেড়েছে।

সেন্ট মার্টিন হাসপাতালে ঠাঁই নিয়েছেন আলী আহমদ নামের এক বাসিন্দা। ঘূর্ণিঝড় কখন আঘাত হানে, সে আশঙ্কায় ঘুম নেই তাঁর চোখে। আলী আহমদ বলেন, ‘দ্বীপের মানুষের ভাগ্যে কী আছে, আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারে না। সকাল হওয়ার অপেক্ষায় আছি এখন। শুধু আমি নই, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা কেউ ঘুমাতে পারেননি। সবাই জেগে জেগে রাত পার করছেন।’

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান রাত পৌনে চারটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আতঙ্কে সময় পার করছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। অধিকাংশ বাসিন্দাই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় অবস্থান নিয়েছেন। শনিবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন এলাকার নারী-পুরুষ ও শিশুরা দলবেঁধে তিনটি সাইক্লোন শেল্টার ছাড়াও ৩৭টি হোটেল, রিসোর্ট ও বহুতল ভবনে আশ্রয় নিতে শুরু করেন। আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিরা বিপদমুক্তির জন্য দোয়া প্রার্থনা করছেন।

চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান আরও বলেন, দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষকে খিচুড়ি ও খাওয়ার পানি সরবরাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনা খাবারও মজুত আছে।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। দ্বীপের অধিকাংশ বাসিন্দা বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন। ভোর হওয়ার অপেক্ষায় আছেন তাঁরা।

সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সেলিম হোসেন ভোর সাড়ে চারটায় প্রথম আলোকে বলেন, দ্বীপজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এর সঙ্গে হালকা বাতাসও বইছে। সাগর এখন বেশ উত্তাল। অনেক দূর থেকেও সাগরের গর্জন শোনা যাচ্ছে।