ঘন কুয়াশায় মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ, এক যাত্রীর মৃত্যু

ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. সোহেল (২৬)। তাঁর বাড়ি ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা এলাকায়। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেঘনা নদীর হাইমচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এ দুর্ঘটনায় আরও পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

সুরভী-৮ ও টিপু-১৪ নামের দুটি লঞ্চ দুর্ঘটনায় পড়ে। সুরভী-৮ লঞ্চের যাত্রী শাফায়াত আহমেদসহ একাধিক লঞ্চযাত্রী বলেন, ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে প্রায় আড়াই শ যাত্রী নিয়ে সুরভী-৮ লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। লঞ্চটি মেঘনা নদীর হাইমচরে পৌঁছালে ঢাকা থেকে আসা ভোলার চরফ্যাশনগামী টিপু-১৪ লঞ্চটি সুরভী-৮ লঞ্চটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সুরভী-৮ লঞ্চের ডান পাশের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ঘটনায় লঞ্চের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সোহেল নামের এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

সুরভী-৮ লঞ্চটি হাইমচরের ডুবচরে আটকে ছিল জানিয়ে যাত্রী শাফায়াত আহমেদ বলেন, জোয়ার এলে তাঁরা ঢাকার দিকে রওনা হন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তাঁরা সদরঘাটে পৌঁছান।

ভোলা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সুরভী-৮ গতকাল রাত সোয়া ১০টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট থেকে ঢাকার দিকে এবং টিপু-১৪ লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট থেকে গতকাল বিকেল ৫টার দিকে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাটের দিকে ছেড়ে যায়। আজ সকাল ১০টার দিকে ঢাকার সদরঘাটে নিহত মো. সোহেলের লাশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে সুরভী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।

সুরভী-৮ লঞ্চের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সুরভী-৮ লঞ্চের প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

টিপু-১৪ লঞ্চের ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।