কুড়িগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সাংবাদিক আনিছুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সবুজছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় সাংবাদিক আনিছুর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন ও তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার এই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান।

ওসি আব্দুল্লা হিল জামান প্রথম আলোকে বলেন, যে সময়ে সাংবাদিক আনিছুর রহমানের ওপর হামলা করা হয়, তখন তিনি ছুটিতে ছিলেন। পরে শুক্রবার ভোররাতে ওই সাংবাদিকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের আটক করতে ইতিমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের আটক করা যায়নি। তবে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন এবং একই ইউনিয়নের বাসিন্দা জাকির হোসেন (২৮) ও নুরুন্নবী (৩৯)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিনজনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

হামলার শিকার সাংবাদিক আনিছুর রহমান দৈনিক সংবাদ পত্রিকার রৌমারী উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ পড়ে বাসায় ফেরার পথে আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সবুজের নেতৃত্বে স্থানীয় মাদক কারবারিরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁরা আনিছুরকে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রাতেই আনিছুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তিন দিন পর গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ।

সাংবাদিক আনিছুর রহমান বলেন, ‘যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তাঁর অনুসারীদের অপকর্ম নিয়ে আমি কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কাজ করতেছিলাম। তাই তারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর রাতে হামলা করে। তারা শ্বাস রোধ করে আমায় মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল।’

মামলার প্রধান আসামি যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনের মুঠোফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।