স্ত্রীকে হত্যা করে বাড়ির তত্ত্বাবধায়ককে কল করলেন স্বামী

লাশ
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে মোসা. আসমা আক্তার (৩৬) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন কুদ্দুস নগর এলাকা থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে।

নিহত আসমা আক্তার (৩৬) চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার খাজার দীঘিরপাড় এলাকার মো. মোস্তফার মেয়ে এবং মানিকগঞ্জ সদর এলাকার নূরুল হক ওরফে নূরুর স্ত্রী। তবে নূরুল হক তাঁর স্ত্রী আসমা আক্তারকে নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর কুদ্দুস নগর এলাকার একটি বাড়ির ৭ তলা ভবনের এক ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। এ ঘটনার পর থেকে নূরুল হক পলাতক। পুলিশ জানায়, আজ সকালে নূরুল হক ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ককে ফোন করে তাঁর স্ত্রীকে ডেকে ওঠাতে বলেন। এর আগে তিনি তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নূরুলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আসমার দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। এ নিয়ে ১ মে সকালে কোনাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নূরুল হক। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। এর জেরে গতকাল রাতের কোনো এক সময় আসমাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। পরে আজ খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ আসমার লাশ উদ্ধার করে।

বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মো. জয়ান আলী বলেন, ‘সকালে নূরুল হক আমাকে ফোন করে বলেন, “আপনার ভাবি সকালে ঘুমিয়ে ছিল, তাই বাইরে তালা দিয়ে চলে এসেছি। আপনাদের কাছে থাকা অতিরিক্ত চাবি দিয়ে ঘরের তালাটা খুলে দিয়ে আপনার ভাবিকে ডেকে দেবেন।” পরে তাঁর (নূরুল হক) কথায় ঘরের তালা খুলে ডাকাডাকি করলেও তাঁর স্ত্রী (আসমা) কোনো উত্তর দিচ্ছিলেন না। পরে ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, নিথর দেহ (আসমা) খাটের ওপর পড়ে আছেন। এ সময়ে আমার সঙ্গে প্রতিবেশী ভাড়াটেরাও ছিলেন।’

কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইকেল বণিক বলেন, নিহত আসমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। আসমার স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আসমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।