হাত ধরাধরি করে মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন মা-বাবা–সন্তান, বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুজনের
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসচাপায় দুজন নিহত হয়েছেন। তাঁরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত শিশুটির মা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মহাসড়কের কেওডালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার খেজুরা এলাকার লোকেশ ডাকুয়া (৯) ও তার বাবা সুরেশ ডাকুয়া (৩৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন লোকেশ ডাকুয়ার মা নিপু রায় (৩০)। নিপু রায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা। তিনি বলেন, আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সুরেশ ডাকুয়া তাঁর স্ত্রী-সন্তানসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় চট্টগ্রামমুখী লেনে একটি বাসের চাপায় তাঁরা তিনজন আহত হন। পথচারীরা তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশু লোকেশকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে সুরেশ ও নিপু রায়কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে ঢাকা মেডিকেলে সুরেশের মৃত্যু হয়। কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় লোকেশ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে সুরেশ ডাকুয়ার লাশ রাখা আছে।
দুর্ঘটনায় আহত নিপু রায় জানান, তাঁর স্বামী সুরেশ ডাকুয়া গ্রামে দরজির কাজ করেন। তাঁদের ছেলে লোকেশ গ্রামের একটি বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। গ্রাম থেকে স্বামী-সন্তানসহ সোনারগাঁয়ের বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দিরে এসেছিলেন তিনি। আজ সকালে সেখান থেকে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। কেওঢালা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিশুটি বাবার হাত ধরে সড়ক পার হচ্ছিল। তাঁদের পেছনে ব্যাগ হাতে সড়ক পার হচ্ছিলেন নিপু। এ সময় ঢাকা থেকে আসা একটি বাস তাঁদের ধাক্কা দিয়ে চট্টগ্রামের দিকে চলে যায়।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা দেড়টা পর্যন্ত হতাহতদের পরিবারের কেউ যোগাযোগ করেননি। পুলিশ দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনটিকে শনাক্তের চেষ্টা করছে।