খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষে আহত ২২, আটক ৫
খুলনায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেলে ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির নেতারা। অন্যদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, ১০ দফা দাবিতে আজ বেলা দুইটার দিকে নগরের কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা তিনটার দিকে সদর থানার সামনে দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে আসছিলেন নেতা-কর্মীরা। তখন পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এ ছাড়া স্টেশন রোড থেকে আসা একটি মিছিলে লাঠিপেটা করে পুলিশ। তখন পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীসহ শতাধিক নেতা-কর্মী বিএনপি কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় অবস্থান নেন। সংঘর্ষ থেমে যাওয়ার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে যায়। তখন বিএনপির নেতারাও দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। মহানগর বিএনপি আয়োজিত কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্যসচিব শফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্যসচিব মনিরুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলমসহ নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় বিকেল চারটার দিকে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ও মহানগর বিএনপি। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী বলেন, সারা দেশের মতো খুলনায়ও শান্তিপূর্ণভাবে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। পুলিশ বিনা কারণে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশের হামলায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী হাসানুর রশীদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক হোসেন, ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আহমেদসহ বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাসান আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি কর্মসূচির জন্য কোনো অনুমতি নেয়নি। শান্তিশৃঙ্খলায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সে জন্য পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিল। আকস্মিকভাবে তাঁরা পুলিশের ওপর হামলা করেন। হামলায় পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন।