আর কতকাল বাইরে থেকে লোক এসে সেতু-রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যাবে : ফাওজুল কবির

গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের ১৮ কিলোমিটার অংশ উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা। আজ রোববার সকালেছবি: প্রথম আলো

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আর কতকাল বাইরে থেকে লোক এসে আমাদের সেতু, রেলপথ বানিয়ে দিয়ে যাবে। এ জন্য আমাদের দেশের প্রকৌশলী দিয়ে কীভাবে কাজ করা যায়, সেটির চেষ্টা করতে হবে। আমাদের বিদেশি নির্ভরশীলতা থেকে ক্রমেই মুক্ত হতে হবে।’

আজ রোববার সকালে গাজীপুরের ভোগড়া এলাকায় ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের ১৮ কিলোমিটার অংশ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

উদ্বোধনের পর এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, নিরাপত্তা ও গতি নিশ্চিত করতে এই সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। একই সঙ্গে এই অংশে কোনো ইউটার্ন রাখা হয়নি। যানবাহনের ধরন অনুযায়ী টোল নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আংশিকভাবে টোল আদায়ও শুরু হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, বড় শহরগুলোকে যানজটমুক্ত করতে এ রকম বাইপাস সড়ক তৈরি করতে হবে। তবে সড়ক নির্মাণে ব্যয় কমাতে হবে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে হবে, যেন বছর বছর রাস্তা ভেঙে না যায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা পত্রপত্রিকায় প্রতিদিনই দেখছি, সব রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে, চলাচল করা যাচ্ছে না। সিলেট থেকে আমি প্রায় প্রতিদিন ফোন পাই রাস্তার খারাপ অবস্থা নিয়ে। আমাদের প্রকৌশলীরা চাইলে ব্যয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারেন।’

এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষের মতে, এই অংশ চালু হলে রাজধানীর আশপাশের যানজট কিছুটা কমবে। একই সঙ্গে পণ্য পরিবহন হবে আরও দ্রুত, সাশ্রয়ী ও কার্যকর। এতে জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পুরো এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে উত্তরাঞ্চলের জন্য এটি একটি বিকল্প রুট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের কমিশনার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহসানুল হক, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন প্রমুখ।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ভোগড়া বাইপাস থেকে মদনপুর পর্যন্ত ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২২ সালের মে মাসে। এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পুরো প্রকল্প হস্তান্তরের সময়সীমা ২০২৬ সালের জুন।