চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনের হুকে আটকে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের সিরাজ ভূঁইয়া রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণের নাম সাইফুল ইসলাম (২১)। তিনি বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ভুলিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। সাইফুল অ্যালবিয়ন ল্যাবরেটরি নামে একটি কারখানায় চাকরি করতেন।
সাইফুলের পরিবার ও সহকর্মীরা বলেন, গতকাল রাতে সাইফুল কারখানা থেকে রেললাইন ধরে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সিরাজ ভূঁইয়া রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছালে চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী ট্রেন চট্টলা এক্সপ্রেস তাঁকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ইঞ্জিনের সামনে হুকের সঙ্গে তিনি আটকে যান। পরে ঘটনাস্থল থেকে ট্রেনটি অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরে কুমিরা রেলস্টেশনে গিয়ে থামে। সেখানে স্টেশনে থাকা লোকজন ইঞ্জিনের সামনে সাইফুলের লাশ ঝুলে থাকতে দেখেন। পড়ে রেলওয়ে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
সাইফুলের মামা মোহাম্মদ মিজান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সাইফুল সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। সাইফুলের বয়স যখন ১৭ বছর, তখন তাঁর বাবা মারা যায়। এরপর সাইফুল পড়াশোনা ছেড়ে চাকরি নেন। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে সাইফুলের মা রহিমা বেগম শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।
রেল পুলিশের সীতাকুণ্ড ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, সাইফুলের লাশ ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে ঝুলে থাকতে দেখে স্টেশনমাস্টার তাঁদের খবর দেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।