মানিকগঞ্জে এক দিনে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার

মরদেহ
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জে এক দিনে পৃথক স্থান থেকে নারীসহ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা সদর, ঘিওর, সিঙ্গাইর ও সাটুরিয়া উপজেলা থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুমার ভোগা গ্রামের নূর আহম্মদ ছেলে আবু হানিফ (২৮), ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বেড়াভাঙ্গা এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে সোনা মিয়া (৪০), সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মণ্ডব ইউনিয়নের দেউলি এলাকার আনাল মিয়ার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৩২) এবং জামালপুর সদর উপজেলার রুহুল্লী এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রাসেল মাহমুদ (৩৫)।

সদর থানার পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে দরজা ভেঙে আবু হানিফের (২৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হানিফের সাবেক স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার সরকারি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল করলে বেলা দুইটার দিকে ভাড়া বাসার একটি কক্ষের দরজা ভেঙে পুলিশ ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় হানিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে জেলা সদরের দীঘি এলাকায় মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অদূরে একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, মৃত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, লাশ দুটি উদ্ধারের ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

ঘিওর থানার পুলিশ জানায়, সকালে ঘিওর উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকায় সোনা মিয়া নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘিওর থানার ওসি কোহিনুর ইসলাম বলেন, গতকাল রোববার দেওভোগ এলাকায় বোনের বাড়িতে যান সোনা মিয়া। রোববার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। আজ সকালে বোনের বাড়িতে ঘরের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি কোহিনুর।

সিঙ্গাইর থানার পুলিশ জানায়, গতকাল দিবাগত রাতে সিঙ্গাইর উপজেলার দেউলি এলাকার রোজিনা আক্তার বিষ পান করেন। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রোজিনার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ওই মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাইর থানার ওসি জে ও এম তৌফিক আজম।

সাটুরিয়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় ওষুধ তৈরির একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন রাসেল মাহমুদ। গতকাল দুপুরে কাজ করার সময় ছাদের ওপর একটি প্লাস্টিকের ড্রাম পড়ে রাসেলের ওপর পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রোববার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

সাটুরিয়া থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।