এক বছর তিন মাসের সাজা এড়াতে পালিয়ে ছিলেন দুই বছর
ফেনীর সোনাগাজীতে মাদকের দুটি পৃথক মামলায় এক বছর তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছিল মো. সাইফুল ইসলাম (২২) ও গিয়াস উদ্দিনের (৩০)। সাজা এড়াতে দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে পালিয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরা পুলিশের কাছে ধরা পড়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে ফেনী শহরের মহিপাল থেকে সাইফুল ইসলাম ও ভোরে চট্টগ্রামে বারইয়ারহাট এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। সাইফুল ইসলাম ও গিয়াস উদ্দিন উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ও দক্ষিণ-পূর্ব চর চান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা।
থানা-পুলিশ জানায়, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে লক্ষ্মীপুরে ইয়াবাসহ সাইফুল ইসলামকে ও উপজেলার চর চান্দিয়া এলাকা থেকে চোলাই মদসহ গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মাদকের পৃথক দুটি মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিছুদিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে তাঁরা চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীতে চলে যান। পরে আর আদালতে হাজির হননি। বিচারপ্রক্রিয়া শেষে আদালত পৃথক দুটি মামলায় পৃথকভাবে সাইফুল ইসলাম ও গিয়াস উদ্দিনকে এক বছর তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে আরও একাধিক মামলা বিচারাধীন।
সোনাগাজী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুব আলম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর সাইফুল ইসলাম ও গিয়াস উদ্দিনের খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। কিন্তু তাঁদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। সপ্তাহখানেক আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি পুলিশকে জানান, সাইফুল ইসলাম নোয়াখালীতে ও গিয়াস উদ্দিন চট্টগ্রামে গোপনে ব্যবসা করছেন। তাঁরা গ্রেপ্তার এড়াতে প্রায়ই স্থান পরিবর্তন করতেন। এক মুঠোফোন নম্বর বেশি দিন ব্যবহার করতেন না। মাঝেমধ্যে গোপনে রাতে বাড়িতে এসে ভোর হওয়ার আগে আবার সেখান থেকে চলে যেতেন।
পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মুঠোফোনের সূত্র ধরে আজ মঙ্গলবার ভোরে সাইফুল ইসলামকে ফেনীর মহিপাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একইভাবে আজ সকালে গিয়াস উদ্দিনকে চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালেদ হোসেন বলেন, মাদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে ফেনীর কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।