দুই দিনেও সন্ধান মেলেনি নিখোঁজ যুবকের, গ্রেপ্তার ২

পদ্মা নদীতে ঝাপ দেওয়ার আগে ভিডিওতে নিজের ক্ষোভের কথা বলেন মো. নুরুজ্জামান
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত

দুই দিন পেরিয়ে গেলেও পদ্মা সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া নুরুজ্জামানের (৩৮) সন্ধান মেলেনি। আজ বুধবারও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনুসন্ধান চালায় মাওয়া নৌ পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুরুজ্জামানের সঙ্গে গাড়িতে থাকা উমর ফারুক (২৬) ও গাড়িচালক আজিজুর রহমানকে (২৭) গ্রেপ্তার দেখিয়ে মুন্সিগঞ্জ আদালতে পাঠিয়েছে মাওয়া নৌ পুলিশ।

গত সোমবার জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিতে গিয়েছিলেন নুরুজ্জামান ও ওমর ফারুক। সেখানে ফুল দিতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে সেদিন দুপুরে পদ্মা সেতুর পশ্চিম পাশের লেন দিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। গাড়ি ধীরগতিতে ছিল। তখন নুরুজ্জামান গাড়ি থেকে নেমে সেতুর রেলিংয়ে উঠে নদীতে ঝাঁপ দেন।

ঝাঁপ দেওয়ার আগে গাড়িতে বসে নিজের বক্তব্য ভিডিও করেন নুরুজ্জামান। ভিডিওতে তাঁকে বিষণ্ন দেখাচ্ছিল। তিনি বারবার আক্ষেপের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর আবেগ–অনুভূতির কথা বলছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করছিলেন।

গাড়িচালক আজিজুর রহমান, নুরুজ্জামানের সঙ্গী উমর ফারুক ঘটনার পর জানিয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দেওয়ার জন্য ১৩ হাজার টাকায় গাড়ি ভাড়া করে টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অনুমতি কার্ড না থাকায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করেও ফুল দিতে পারেননি। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে আক্ষেপ নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেন নুরুজ্জামান।

মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক অহিদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোনের মাধ্যমে ওই যুবকের নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার খবর পান তাঁরা। ওই দিন নৌ পুলিশ একাই খোঁজ করে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার কাজে অংশ নেন। আজ শুধু নৌ পুলিশের সদস্যরা পদ্মা নদীর সম্ভাব্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। অনুসন্ধানের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবে জিঙ্গাসাবাদের জন্য গাড়ির চালক ও সফরসঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।