মিঠাপুকুরে গৃহবধূকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

রংপুর জেলার মানচিত্র

রংপুরের মিঠাপুকুরে আরমিনা আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার পায়রাবন্দ এলাকার ভাংনি চৌপথি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আরমিনা আক্তার উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ফেরদৌস আল হাসান ওরফে ডিপজলের স্ত্রী। তিনি উপজেলার পায়রাবন্দ কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আরমিনা আক্তার বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ফেরদৌস আল হাসান পলাতক।

আরমিনা স্বজনদের দাবি, এক বছর আগে ফেরদৌস জোর করে আরমিনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই ফেরদৌস তাঁর স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিয়ের অল্প কিছুদিন পর আরমিনা একই ইউনিয়নের বুজরুক তাজপুর গ্রামে বাবার বাড়িতে ফিরে যান। আরমিনা বাড়িতে ফিরে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করেন। এর মধ্যে ফেরদৌস একাধিকবার আরমিনাকে ফেরানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এতে ফেরদৌস ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে আরমিনার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করছেন।

আরমিনার বাবা আবদুর রাজ্জাক বলেন, গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে আরমিনা আক্তার কলেজ থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। ভাংনি চৌপথি এলাকায় পৌঁছানোর পর ফেরদৌস আরমিনার পথ রোধ করেন। এ সময় ফেরদৌস হাতুড়ি দিয়ে আরমিনার মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করেন। এতে আরমিনা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ফেরদৌস পালিয়ে যান।

পরে স্থানীয় লোকজন আরমিনাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ফেরদৌস পলাতক। তাই এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গৃহবধূ বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই গৃহবধূর পরিবার থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তবে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বামীকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।