গাজীপুরে কারখানায় শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কারখানায় চুরির অপবাদ দিয়ে হৃদয় (১৯) নামের এক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির এক নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে কোনাবাড়ীর সেলিমনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
নতুন করে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শফিকুল ইসলাম (৩০)। তিনি রাজশাহীর বাগমারা এলাকার হাটমাদনগর গ্রামের বাসিন্দা ও গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড নামের কারখানাটির নিরাপত্তাকর্মী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে সোমবার মধ্য রাতে ওই এলাকার একটি বাসা থেকে শফিকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাঁর জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ ঘটনায় হৃদয়ের বড় ভাই লিটন মিয়া বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় গত শনিবার রাতে একটি হত্যা মামলা করেন। তবে এতে জড়িত কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। ওই মামলায় রোববার হাসান মাহমুদ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই কারখানার শ্রমিক।
কোনাবাড়ীর গ্রিনল্যান্ড লিমিটেড নামের কারখানায় শনিবার ভোরের দিকে হৃদয়কে রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনার একটি ভিডিও রোববার রাতে ছড়িয়ে পড়লে কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। হৃদয় টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শুকতার বাইদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি কারখানাটিতে মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হৃদয় কাজ শেষে বাসায় না ফেরায় শনিবার বিকেলে তাঁর ভাই লিটন ও মা কারখানার দিকে যান। সেখানে গিয়ে কারখানায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ দেখে জানতে পারেন, চুরির অপবাদ দিয়ে হৃদয়কে হত্যা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। পরে তাঁরা লাশের সন্ধান চাইলে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে আছে বলে জানানো হয়। সেখানে গিয়ে তাঁরা মরদেহটি শনাক্ত করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি তাঁদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।